পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক >br? বছর পরে । তা নির্ভর করে ঘটনাচক্রের উপর । বিচার করে’ দেখতে হ’বে যে, যে মন্দির গড়েছিল তার মনে এই রকম কোনও অশুভ কল্পনা ছিল কি না । তা মনে না করে কার কাজের কখন কোন অশুভ ফল ঘটবে তা যেমন কল্পনা করা যায় না, আবার সেই অশুভে যে কত শুভাশুভ ঘটনা ঘটবে তারও কোন বিচার করা যায় না । অনেকে বলে থাকেন, যে কাজের দ্বারা অধিকতম মানুষের অধিকতম হিত ঘটে সেই কার্য্যই সাধু। কিন্তু কোন কাজের দ্বারা অধিকতম মানুষের অধিকতম কল্যাণ ঘটবে তা একান্তভাবে দুজ্ঞেয় । সেইজন্য সেই দিক দিয়ে কোনও বিচার করা চলে না । যে ঘটনা আমরা ঘটাই তার চারিপাশের এতটুকুমাত্র আমরা দেখতে পাই, কিন্তু সেই ঘটনা বহিলোকে ভেসে চলে অনন্ত কালস্রোতে । এই অনন্ত কালস্রোতে নানা অবস্থার বিবর্তনে অন্ত নানা ঘটনার সঙ্গে সজঘাতে সেই ঘটনা কতখানি শুভাশুভ উৎপন্ন করবে এবং সেই শুভাশুভের মধ্যে জমাখরচ কষে শুভের ভাগই অধিক হবে কি অশুভের ভাগই অধিক হবে, তা বলা যায় না ।” স্বকুমার আবার বল্লে—“চুলচেরা বিচারে অবশু তুমি তোমাকে সমর্থন করতে পার, কিন্তু এখনই যে চোখের সামনে এতগুলি মেয়ের প্রিন্সিপাল-এর সঙ্গে বিদ্রোহ ঘটুল সে বিদ্রোহ হয় ত এর চেয়েও বেশী অনর্থ আনতে পারে । শুনেছি যে পুলিশ আনাচে-কানাচে ঘোরা ফেরা করছে ।” স্বজাত বল্পে—সেইজন্যই ত প্রয়োজন এমন একজন লোক যে এ সময় হাল ধরতে পারে । কে বলতে পারে, সে-রকম লোক হয় ত জুটেও যেতে পারে । তবে যে সমস্ত মেয়ের ক্ষেপে উঠেছে তারা প্রায় প্রাপ্তবয়স্ক । তাদের সকলের মধ্যেই আছে দাহ পদার্থ এবং