পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক २8७ সামান্ত একটু আলাপ হয়েছিল । ম্যাজিষ্ট্রেট, কানাইয়ের সত্যনিষ্ঠার প্রশংসা করলেন কিন্তু এই পরিচয়কে তিনি গণনার মধ্যে আনলেন না । কানাই তাকে বল্লে—“আমার একটি বক্তব্য আছে, তা শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নয় । সে বক্তব্য এই যে যাকে আপনার পুলিশের কাজ বলে’ বলছেন এবং যার বিরুদ্ধে বাধা দিয়েছি বলে’ আমাব বিরুদ্ধে এসেছে অভিযোগ, সে কাজ নয়, অপকাজ । সে কাজের স্বারা সরকারের সুনাম হয় ব্যাহত, রাষ্ট্রের প্রতি যে শ্রদ্ধা আছে লোকের সে শ্রদ্ধা যায় বিনষ্ট হয়ে এবং তার ফলে হয় নানাপ্রকার অনর্থপাত । কতগুলি মেয়ে চলেছে শোভাযাত্রা করে’, তাদের বেণীতে তুলছে বঙ্গীন বিজয়কেতন । তাবা যদি সমস্ত কলকাত সহর সাতবার প্রদক্ষিণ করে তবে সরকারের তাতে ক্ষতি কি, পুলিশেরই বা তাতে বাধা দেওয়ার দরকার কি ? আজ যদি সত্যি পুলিশ এই মেয়েদের উপর অত্যাচার করতে পারত, কাগজে কাগজে কত লেখালোথ হ’ত । শুধু আমাদের দেশের মন্ত্রীসভায় নয়, পালামেন্টে উঠ ত তার আলোচনা । সেটা কি সরকার পক্ষে শোভন হ’ত ? এ কথা মেনে নিতে প্রস্তুত আছি যে সরকারের যন্ত্রবল অসীম, কিন্তু যত বড়ই বলিষ্ঠ কেউ হোক না কেন, অনর্থক নিন্দাবিদ্বেষ কুড়িয়ে সরকারেব লাভ কি ? এগুলিই ত ক্রমশ: বেড়ে বেড়ে পরিশেষে একটা ভীষণ আকার ধারণ করতে পারে । যদি পুলিশ নিরুদ্বেগে তাদের ছেড়ে দিত টহল দিয়ে ফিরতে, তাব করত কি ? কলেজ স্কোয়ার পর্য্যস্ত গিয়েছিল, না হয় ওয়েলেসলি পর্য্যন্ত গিয়ে ঘর্ম্মসিক্ত বসনে, তৃষ্ণার্ত্ত হয়ে, রুক্ষ্মকেশ ও বিবর্ণমুখে ফিরে যেত যার যার আপন বাসায়, মনে করত তারা একটা মস্ত কাজ করে এসেছে। ক্লাস্তির দ্বারা উত্তেজনা হ’ত ক্ষয়, সরকারের কি লোকসান ?”