পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|రినమ్రి অধ্যাপক আসক্তি, এটা সে সহ করতে পারত না । সে এক এক দিন রেগে পেট্রোলের টিন নিয়ে ছুটত লাইব্রেরীর দিকে, যদি অগ্নিসাং করা যায় বইগুলো । এ কাজে অবশ্য সে সমর্থ হয় নি, কিন্তু অবিনাশবাবুর আশঙ্কা গেল না । তিনি একটা প্রকাও দেয়াল তুলে লাইব্রেরীকে পৃথক করে নিলেন । প্রতিভা যখন দেখলে যে ক্রোধে কোন ফল হ’ল না তখন সে এল নরম হয়ে । ক্ষণে অক্ষণে সে গিয়ে উপস্থিত হ’ত লাইব্রেরীতে, তাকে নিয়ে যেত বেড়াতে । কোন সময় বা ধরে নিয়ে যেত সিনেমায় কিংবা থিয়েটারে, কোন সময় বা বসত রবীন্দ্রসাহিত্য চর্চা করবার জন্য অবিনাশবাবুর সঙ্গে । যখনই তার কাছে কিছু জানবার জন্য উপস্থিত হ’ত প্রতিভা, তখনই অবিনাশবাবুর মধ্যে অন্তরস্বগু অধ্যাপক উঠত জাগ্রত হয়ে, তিনি অতি যত্ন করে’ বোঝাবার চেষ্টা করতেন সাহিত্যের দুজ্ঞেয় সমস্ত রহস্য । তার অধ্যাপকের মন বিচরণ করত একটা মূঢ় স্বপ্নের আকাশে, সঙ্কল্প করত কেমন করে তাকে কি ভাবে গড়ে তুলে বিদুষী করে তুলবেন । এই অবসরে স্থলভকোপা প্রতিভা পেত নূতন নূতন প্রশ্রয়, ভুলে যেতেন তিনি তার লাঞ্ছনার কথা, তার আঘাতের কথা । হারিয়ে ফেল্লেন তিনি আপনাকে ধীরে ধীরে প্রতিভার মায়াজালের মধ্যে। প্রতিভা আনল গাঢ় করে চারিপাশের আকাশ লালসা ও আবেশের গভীর স্নিগ্ধতায়, যেমন গাঢ় করে দেয় বর্ষণমুখর শ্রাবণসন্ধ্যা স্বদূরবিসারী সপ্তপণীর গন্ধে। প্রতিভা বল্পে—এস আমরা দু’জনে সঙ্গীতের আলোচনা করি । ডাক পড়ল প্রতিভার কলেজের সহাধ্যায়ী গোলাপ মৈত্রের । গোলাপ ছিল অতি স্থদর্শন, প্রিয়ভাষী বা চাটুভাষী, সুকুমার, কোমল, নর্ম্মপ্রিয় ও বিদগ্ধ । দীর্ঘকাল সঙ্গীত আলোচনার ফলে সে এ বিষয়ে অর্জন