পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8%ሬት রচনা করতে, যেখানে হৃদয় পেতে পারে একটি নিরস্তুর বিশ্রাম, যেখান থেকে সে পেতে পারে তার inspiration ; সেই আস্তর প্রয়োজনে । মানুষ জাকে ছবি, লেখে কবিতা, গাথে ছড়া, বানায় উপকথা ; সেই প্রয়োজনের বশেই কবির কাব্য মুখরিত হয়েছে নারীর স্তুতিগানে, , শিল্পীর বর্ণিকা ফুটিয়ে তুলেছে নারীর সৌন্দর্য্য, নারীর যৌবন।” স্বজাতা বললে—“কিন্তু আমার প্রশ্নটা পড়ে গেল চাপা । আমি বলছিলুম একথা যে, কোনও নারী যদি তার জীবনে পুত্রপৌত্রাদিক্রমে সংসার করা ছাড়া অন্য কোনও রকম আত্মপ্রকাশের দাবী অনুভব করে তবে সে কি করবে ?" অধ্যাপক বললেন—“তাকে নিজের মধ্যে বেশ করে যাচাই করে’ দেখতে হবে যে এটা কি তার সত্যকার ভিতরকার দাবী না অল্প মূল্যে কোনও মান খেতাব কিনবার দাবী ? যদি তা একটা ছোট চাহিদার দাবী হয় এবং তার জন্য তাকে যদি ত্যাগ করতে হয় নারী জীবনের স্বাভাবিক সঙ্গতি তবে আপন ছোট চাহিদার নিরুক্তির সঙ্গে সঙ্গে তার মনে জেগে উঠবে তার স্বাভাবিক প্রবৃত্তির চাহিদা । তখন জীবন তার পূর্ণ হয়ে উঠবে অশাস্তিতে ” স্বজাত আবার বললে—“কিন্তু বিশেষ পর্য্যবেক্ষণ করেও যদি কেউ এইটেই যথার্থ অনুভব করে যে তার আত্ম-প্রকাশ বা আত্ম স্বষ্টির দাবী সবচেয়ে বেশী তাহলে তারও কি উচিত হবে সাধারণ মেয়েদের মধ্যে জীবন যে সঙ্গতি লাভ করে সেই সঙ্গতিকেই প্রধান স্থান দিয়ে নিজের দাবীকে করবে গৈ ?” অধ্যাপক বললেন--"না, তা কখনোই মনে করি না । সমস্ত সাধারণ নিয়মেরই ব্যতিক্রম আছে । জগতের ইতিহাসে এরকম নারীর সংখ্যা কম হ’লেও একেবারে বিরল নয় । তার মানুষের জ্ঞান