পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক & So বিচিত্র প্রেমের পরিচয় তুমি ভাষায় পার না প্রকাশ করতে, কিন্তু সেই রকম প্রেম হ’লে দেহের আকার, ব্যবহার ও ইঙ্গিতের যে পরিবর্তন ঘটে সেই অকুভাবগুলি তুমি ভাষায় বর্ণনা করতে পার। কাজেই সে ভাবগুলিকে প্রকাশ করতে হ’লে দেহবর্ণনার মধ্য দিয়ে ছাড়া অন্ত উপায়ে প্রকাশ করা যায় না । কাজেই, অন্তরের ভাব ভাষায় ব্যক্ত করতে হ’লে টেনে আনতে হয় স্থল দেহটার নানা বিকার, যার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় অন্তরের ভাবগুলি এবং যাকে প্রকাশ করতে পারা যায় ভাষায় । অপ্রাকৃত কৃষ্ণরাধার প্রেমের চিরন্তন বিলাসবিবর্ত্ত প্রকাশ করতে হয়েছে প্রাকৃত কৃষ্ণরাধার প্রাকৃত দেহের নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে । যে দেহের বিকারের বর্ণনা তারা করেছেন সেটা ছিল তাদের অন্তরকে প্রকাশ করবার ভাষা। ওটু হ'ল শিল্পের টেক্‌নিকৃ। ভগবানও দিয়েছেন আমাদের দেহকে আমাদের অস্তরের ভাব প্রকাশ করবার জন্য, সেই ভাবের দ্বারা দেহকে বিক্ষুব্ধ করবার জন্য নয় ।” স্বজাত স্তব্ধ হয়ে কিছুক্ষণ রইল নির্ণিমেষ নেত্রে । তারপর প্রণাম করলে অধ্যাপককে তার দু'টি পায়ে মাথা রেখে। কানাইও দু’টি হাত জোড় করে’ মাথা করলে অবনত শুব্ধ বিস্ময়ে । অধ্যাপক বল্লেন--- “তোমাদের বিদ্যামন্দিরের সংস্কারের প্ল্যানটি সমস্তই মুন্দর হয়েছে, তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে সামান্ত একটু বক্তব্য ছিল |” • উভয়েই সোংস্বকভাবে বয়ে—"বুলুন।" অধ্যাপক আবার একটু সঙ্কুচিতভাকে বল্পেন—“বলব ?" স্বজাত বল্লে—“আপনি ও রকম করছেন কেন ? বলুন নু।” অধ্যাপক বল্পেন—“আমার ইচ্ছা যে এই বিদ্যামন্দিরের কম্পাউণ্ডএর দক্ষিণদিকে তোমরা গড়ে তোল স্বল্পায়তন একটি মন্দির, সেই w&ఖ3