পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক సె ) ব্যবহার করবার এই একটা সুবিধা আছে যে তার সঙ্গে যতই অপ্রীতিকর ব্যবহার কর না কেন, সে যে ভদ্রলোক এ কথা তার সব সময়ই মনে থাকে এবং সে কখনই অভদ্র ব্যবহার করতে পারে না, বিশেষত: স্ত্রীজাতির সঙ্গে । কিন্তু এ কথাও বলা ঠিক হবে না যে এমন চিরায়ুগত কানাইয়ের প্রতি, এমন দৃঢ় বলিষ্ঠপ্রকৃতির প্রতি, এমন একাগ্র সত্যনিষ্ঠ যথার্থ ভদ্র ব্যক্তির প্রতি, এতদিনের মেলামেশাতেও মঞ্জরীর মনে কোন টান জন্মায় নি । মঞ্জরীর মধ্যে ছিল বিলাসবিভ্রম, চটুলতা, তার মধ্যে ছিল ছেলেধরার অসীম লোভ । শিকারের বস্তু আহার করায় ছিল না তেমন রুচি, যেমন রুচি ছিল' শিকার নিয়ে খেলা করায় । এই খেলার মধ্যে তার মন যে কখনও কোথাও টানত না তা নয়, কিন্তু একান্তভাবে ধরা না দেওয়ার কৌশলটি সে সম্পূর্ণ আয়ত্ত করেছিল। শেষ পর্য্যস্ত কোথায় ধরা দেবে বা না দেবে, সেট। সে রাখত আপন বিচারবুদ্ধির হাতে । নিজের স্বার্থ সম্পূর্ণ যাচাই না করে সে কোথাও ধরা দিতে প্রস্তুত ছিল না, কিন্তু অপরকে ধরবার লোভে আদিম নারীরাক্ত তার হৃদয়কে স্পন্দিত করত এবং তার ধমনীকে তুলত নাচিয়ে । আজ কানাইয়ের সঙ্গে কি ভাবে ব্যবহার করবে তা সে তখনও স্থির করতে পারে নি। তাকে প্রলুব্ধও করবে, প্রত্যাখ্যানও করবে, অথচ এই দু’টি বিভিন্ন বিপরীত বৃত্তিকে কেমন করে সফল করে তুলবে, বুদ্ধির আওতার মধ্যে তার কোনও হদিস পাচ্ছিল না। এমন সময় কানাই এমন একটা আকস্মিক ব্যবহার করে বসল যেটাকে প্রশ্রয় দিলে তাকে প্রত্যাখ্যান করা দুর্ঘট হয়ে উঠত। এই জন্য হঠাৎ নিজের অনিচ্ছাতেও তাকে রূঢ় হয়ে উঠতে হ’ল । কানাই অপমান সহ করতে পারত না । কিন্তু এমন অবস্থায় সহ