পাতা:অনুবর্তন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবর্তন বাহিরে বুট জুতার শব্দ শোনা গেল-মিঃ আলমের পায়ে বুট আছে সবাই জানে-যদুবাবু হঠাৎ খামিয়া গেলেন। ক্ষেত্রবাবু বলিয়া উঠিলেন-যাই, খড়িটা দিন নারাণবাবু দয়া করে, ক্লাস আছে নারাণবাবু বলিলেন-চলো, আমিও যাই-ওরে কেবলরাম, ইণ্ডিয়ার বড় NJi?iriadi CW (Si কিন্তু দেখা গেল, যে ঘরে ঢুকিল, সে মিঃ আলম নয়, বইয়ের দোকানের একজন ক্যানভাসার, এক হাতে ব্যাগ ঝোলানো, অন্য হাতে কিছু নতুন স্কুলপাঠ্য বই। ক্যানভাসারের সুপরিচিত মুক্তি। ক্যানভাসারের প্রশ্নের উত্তরে তাহাকে হেড মাষ্টারের আপিস দেখাইয়া দিয়া যদুবাবু পুনরায় সুরু করিলেনহঁ্যা, আমি যা বলব এক কথা। . কাউকে ভয় করে না। এই যদু মুখুয্যে। বলি বাবা, এ স্কুল গড়ে তুলেছে কে ? আই নারাণ বাড়ুয্যে আর হেড পণ্ডিত। সাহেব এলো তো কাল, উড়ে এসে জুড়ে বসেছে-আর ওই অস্ত্যজ মিঃ আলমের প্রবেশটিা একটু অপ্রত্যাশিত ধরণে ঘটিল। যদুবাৰু হঠাৎ ঢোক গিলিয়া চুপ করিয়া গেলেন। মিঃ আলমের ব্যবহার অত্যন্ত ভদ্র ও সংযত। মুখের উপর কেহ গালগালি দিলেও মিঃ আলমের কথাবার্ত্তা বা ব্যবহারে কখনো রাগ প্রকাশ পায় না। আলম বলিল-ক্ষেত্রবাবুর একটা দরখাস্ত দেখলাম হেড মাষ্টারের টেবিলে, কাল আসবেন না, কি কাজ ? ক্ষেত্রবাবু বলিলেন-আজ্ঞে, কাল আমার ভাগ্নীর বিয়ে--তা একদিন কেন, দুদিন ছুটি নিন না । আমি সাহেবকে বলে দেবো। R | ক্ষেত্রবাবু বিনয়ে গলিয়া গিয়া বলিলেন-যে আজ্ঞে। তাই দেবেন বলে -আমার সুবিধে হয় তা হোলে-থ্যাঙ্কস ছুটির ঘণ্টা এইবার পড়িবে। শেষের ঘণ্টাটা কি কাটিতে চায় ? ক্ষেত্রবাবু