পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नि মধ্যাহ্ন ভোজন খুব ভালই হোল। এর পর আমরা সেই হতুকিতলায় গিয়ে বসি। সামনে পশ্চিম দিকে নদীর ওপারে শৈলশ্রেণী, বির-ঝির বাতাস বইচে নদীর দিক থেকে। একদল সাদা বক পাহাড়শ্রেণীকে পেছনে ফেলে মেঘের তলা দিয়ে উড়ে আসচে। এদিকে। প্রণববাবু বললেন-আপনি আমার জীবনের কথা কিছু কিছু সকালবেলা শুনেচেন। আজ একটি অসাধারণ ঘটনার কথা বলবো। এ আমার নিজের চোখে দেখা বলেই আপনার কাছে বলবার ইচ্ছেটা বড় প্রবল হয়েচে । আপনি জানেন, আমার বাবা ও কাক উগাগু রেলপথ তৈরির সময় থেকে ওদেশে ছিলেন। আমার এক কাকা বেলজিয়ান কঙ্গোতে কমলালেবুর আবাদ করেন, আমার বাবার অনেক আগে থেকে তিনি আছেন সে দেশে, আঁর্তার চার-পাঁচটি ছেলে big game hunter। লোহার মত শরীর, অনর্গল সোহালি - ভাষা বলতে পারে সে দেশের নেটিভদের মতই। এসব কথা গল্পের মত শোনাচ্ছে না কি ? কিন্তু ঘর-বোলা লোকের কাছে হয়তো এ সব যতই গল্প বলে মনে হোক, আমরা জানি বাঙলাদেশের লোক কত দূরে দূরে GS