পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

意 দ্বার-এ সেলাম sy ঝোলাটি পরীক্ষা করিয়ে ছােট জাহাজে গিয়ে বসলাম। আমার পিঠ ঝোলাতে বেশী কিছু ছিল না । পিঠ-ঝোলাতে সাইকেল মেরামতের যন্ত্র, আফ্রিকার মানচিত্র, অটােগ্রাফ বই, এবং সামান্য কাপড় ছিল। তাই পরীক্ষা করতে এক জন কষ্টম অফিসারে প্রায় আধা ঘণ্টা লেগেছিল। জাহাজ ছেড়ে দেবার পর চারিদিকের দৃশ্য দেখে সময় কাটাতে লাগলাম। কয়েকজন মারব যাত্রীও ছিলেন। তঁরা ইরাক, সিরিয়া এবং মস্কত হয়ে এসে এ দেশের ভ্রমণ সমাপ্ত করে দেশে ফিরে যাচ্ছিলেন । ঠারাও এক ধরণের পর্যটক। তঁরা এসেছিলেন ব্যবসায়ের সংবাদ নেবার জন্য, আর আমি জানজিবারে গিয়েছিলাম নিছক বেড়াবার জন্যই। ব্যবসায়ীরাই হ’ল রাজনীতির চাই। তাদের জুবিধা এবং অসুবিধার উপরই নির্ভর কয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের শান্তি এবং অশান্তি । দুঃখেয় বিষয় এরা সকলেই পরাধীন দেশের বাসিন্দা, অতএব তাদের আমার ভয় করার মত কিছুই ছিল না। তারা সকলেই ছিলেন ভারতের শুভানুধ্যায়ী, এতে তেঁদের সংগে কথা বলতে আরও ভাল লেগেছিল । আরবি ব্যবসায়ীগণ আমাকে একবারও জিজ্ঞাসা করেন নি আমার কোন ধর্ম্ম, নিজেই বলেছিলাম আমি মুসলমান নাই, মুসলমান ভেবে। যদি আমার প্রতি কোনরূপ সহানুভূতি প্রকাশ করা হয় তবে তঁদের সহানুভূতির কোন মূল্য থাকবে না। আমার কথা শুনে একজন ভদ্রলোক একটু দ্রমখিচে আমাকে তার কাছে বসিয়ে বললেন—“সে অনেক কথা, আমরা বেশ ভাল করেই জানি আপনি মুসলমান নন, যদি বুঝতাম। আপনি ভারতীয় মুসলমান তবে মুখ -খুলতাম না। আমরা হিন্দুস্থানেও বেড়াতে গিয়েছিলাম। হিন্দুস্থানের মুসলিম হিন্দিরাই আমাদের আদর-যত্ব কয়েছিল, অন্যান্য হিন্দিরা আমাদের খোঁজখবরও নেয়নি। সেজন্য আমরা দুঃখিত হওয়া দূরের