পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* অপয়াজিত দাঁড়াইল। এখান হইতেই মনসাপোতা। যাইবার সবিধা। ভবতারণ চক্রাবতী পাব হইতেই পত্র দিয়া গোেরর গাড়ির ব্যবস্হা করিয়া রাখিয়াছিলেন । কাল রাত্রে একটু কষ্ট হইয়াকুল । এক্সপ্রেস ট্রেনখানা দেরিতে পৌছানোর জন্য ব্যান্ডেল হইতে • নৈহাটীর গাড়িখানা পাওয়া যায় নাই। ফলে বেশী রাত্রে নৈহাটীতে আসিয়া অনেকক্ষণ বসিয়া থাকিতে হইয়াছিল । 影 সারারাত্রি জাগরণের ফলে অপ, কখন ঘামাইয়া পড়িয়াছিল সে জানে না । চক্রবতী মহাশয়ের ডাকে উঠিয়া জানােলা দিয়া মািখবাড়াইয়া দেখিল একটা সেন্টশনের পলাটফর্মে গাড়ি লাগিয়াছেন সেখানেই তাদের নামিতে হইবে । কুলীরা ইতিমধ্যে তাহাদের কিছু জিনিসপত্র নামাইয়াছে । গোরির গাড়িতে উঠিয়া চক্রবতী মহাশয় অনবরত তামাক টানিতে লাগিলেন । বয়স সত্তরের কাছাকাছি হইবে, একহারা পাতলা চেহারা, মাখে দাড়ি গোঁফ নাই, মাথার চুল সব পাকা । বলিলেন-জীয়া, ঘাম পাচ্ছে না তো ? সবােজয়া হাসিয়া বলিল, আমি তো নৈহাটীতে ঘামিয়ে নিইচি আধঘণ্টা, ” অপও ঘামিয়েচে । আপনারই ঘািম হয় নি চক্লবতী মহাশয় খাব খানিকটা কাশিয়া লইয়া বলিলেন,-ওঃ, সোজা খোজটা করেছি। তোদের! আর-বছর বোশেখে মেয়েটা গেল মারা, হরিন্ধন তো তার আগেই । এই বয়সে হাত পড়িয়ে রোধেও খেতে হয়েছে,-কেউ নেই সংসারে । তাই ভাবলাম হরিহর বাবাজীর তো নিশ্চিন্দিপর থেকে উঠে যাবার ইচ্ছে ছিল অনেকদিন থেকেই, যাই এখানেই নিয়ে আসি। একটু ধানের জমি আছে, গহদেবতার সেবাটাও হবে ! গ্রামে ব্রাহ্মণ তেমন নেই,--আর আমি তো এখানে থাকিব না। আমি একটু কিছ, ঠিক ক'রে দিয়েই কাশী চলে যাবো । একরকম ক'রে হরিহর নেবেন চালিয়ে। তাই গেলাম নিশ্চিন্দিপাের সবজিয়া বলিল, আপনি বঝি আমাদের কাশী যাওয়ার কথা শোনেন নি ? --তা কি ক’রে শ্যনবো ? তোমাদের দেশে গিয়ে শািনলাম তোমরা নেই সেখানে । কেউ তোমাদের কথা বলতে পারে না-সবাই বলে তারা এখােন থেকে বেচে-কিনে তিন-চার বছর হ’ল কাশী চলে গিয়েছে । তখন কাশী যাই । • কাশী আমি আছি আজ দশ বছর । খাজতেই সব বেরিয়ে পড়লো । হিসেব ক’রে দেখলাম হরিহর যখন মারা যান, তখন আমিও কাশীতেই আছি, অথচ কখনো দেখােশানো হয় নি, তা হলে কি আর অপ আগ্রহের সরে বলিল, নিশ্চিন্দিপারে আমাদের বাড়িটা কেমন আচে, দাদামশায় ? —সেদিকে আমি গৈলাম কৈ। পথেই সব খবর পেলাম কি-না। আমি আর সেখানে দাঁড়াই নি । কেউ ঠিকানা দিতে পারলে না। ভুবন মািখয্যে মশায় অবিশ্যি খাওয়া-দাওয়া করতে বললেন, আর তোমার বাপের একশো নিন্দে --বন্ধি নেই, সাংসারিক জ্ঞান নেই।--হেন তেন। যাক সেসব কথা, তোমারা এলে ভাল হ’ল । যে ক’ঘর যজমােন আছে তোমাদের বছর তাতে কেটে যাবে। প্রায়শই তেলিরা বেশ অবস্থাপন্ন, তাদের ঠাকুর প্রতিষ্ঠা আছে । আমি পজে