পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে, সবাই তারে গড় করে। ফেরত গাইলে সব ব্যাঙ, গড় কর গড় কর। কর কর গড় কর। গড় কর গড় কর । কুঁকড়ে ব্যাঙেদের শুধালেন, ‘স্বপনপাখির গান কেমন ।” ব্যাঙর বললে, “আমরা কেউ থাকি পাথর-চাপ, কেউ থাকি কুয়োর তলায়, আমাদের কানে কেমন করে সে গান আসবে। " তবে স্বপন আমরা দেখি বটে, শীতের ক’মাস চবিবশ ঘণ্টাই । গেছোব্যাঙকে শোধালে হয়, সে স্বপন আর পাখি দুই দেখেছে।’ কুঁকড়ে গেছোব্যাঙকে শুধালেন স্বপনপাখির গানের কথা । গেছে তার কটকটে আওয়াজে পাখির গানের নকল দেখিয়ে দিলে, ‘দম ফাটু দম ফাট । দুয়ো দুয়ো দুয়ো দুয়ো নকলট মোটেই আসলের মতো হল না, কিন্তু কুঁকড়ো ভাবলেন সত্যিই স্বপনপাখি এমনিই গায়, তিনি ব্যাঙদের বললেন, "আহ বেচারা পাখি যদি এই গান গেয়েই খুশি থাকে তো থাক-না। তার উপর উৎপাত করে কী হবে । মশা মারতে কামান পাতবার কী দরকার।’ ব্যাঙর বললে, “না মশয়, আপনার গান যেদিন শুনেছি, সেইদিনই বুঝেছি কী বিত্র স্বপনপাখিটার গান। আপনার স্থর শুনলে আমাদের যেন ডান গজিয়ে উঠে উড়তে ইচ্ছে হয়। আর তার গান, ছোঃ । ব’লে সব ব্যাঙগুলো হাচতে লাগল। র্তার গান শুনে ব্যাঙর ডানা গজিয়ে সব উড়ে চলেছে এ ছবিটা মনে করে কুঁকড়ো বেশ একটু আমোদ পেলেন। ব্যাঙর। র্তার হাসি দেখে আরো জোরে ছাতা পিটতে লাগল, জয় কুঁকড়ে, জয় কুঁকড়ো’ বলে। সোনালি বেরিয়ে এসে বললে, এত গোল কিসের । কুঁকড়ে বললেন, ‘ব্যাঙরা আমায় ভোজের নিমন্ত্রণ করছে।’ সোনালি অবাক হয়ে শুধলে, ‘তুমি যাবে নাকি ওদের ভোজেতে। কুঁকড়ে বললেন, ‘আপত্তি কী। এরা সবাই বুদ্ধিজিভি। আমার গান এদের যদি ডানা গজাবার কাজে লাগে, তবে কেন আমি এদের সে মুখ থেকে বঞ্চিত রাখি। তোমার স্বপনপাখির গান তো সে কাজটা ఏ8