পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুহুংমুং মুখ গম্ভীর করে বুরুঞ্জির পাতা উল্টে-পাণ্টে মাটিতে খানিক জাক-জোক কেটে বললেন –আগামী ভূতচতুর্দশীতে এখানে সিদ্ধিদাতা গণেশের শাপভ্রষ্ট একজন উপস্থিত হবেন, বারো বৎসর এগারো দিন এক-দও তিনপল উনপঞ্চাশ বিপল বয়সে বুরুঞ্জিতে লেখে —সুন্দরবনস্থ আমতলি গ্রামের কাশুপ গোত্রের অঙ্গুষ্ঠপ্রমাণ এই মহাপুরুষ, তার আগমনে দেশে মুখসৌভাগ্য সঙ্গেসঙ্গে মূষিক ও মশক বৃদ্ধি, হেঁড়েল বংশ ধ্বংস ও চুয়াদিগের নাটবাড়ি আক্রমণ এবং হাড়গিলা প্রভৃতির প্রচুর ভোগ ঐশ্বর্য এবং সর্ব-সিদ্ধি যোগ। গণেশ-চতুর্থীতে এই কলির বামন অবতার হংসরথে গৃহত্যাগ করবেন এবং ভূতচতুর্দশীতে উনপঞ্চাশ পবনে ভর দিয়ে কল্লাদ উনশত উনপঞ্চাশে সূর্যাস্তের দিক হতে উদয় হয়ে ক্রমে সূর্যোদয়ের দিকে অভু্যত্থান করবেন। স্যামবর্ণ সুন্দর বপুঃ বুড়োরষ্ট বৃষস্কন্ধ শালপ্রাংশু মহাভুজ বলে চুহুংমুং বুরুঞ্জি বন্ধ করলেন । সেইদিন থেকে হাড়গিলের রাজা খাম্বাজং ভাঙাচোরা পুরোনো নাটবাড়ির চুড়োয় গিয়ে একপায়ে দাড়িয়ে পশ্চিমমুখো হয়ে ঘাড় তুলে রইলেন –হংপাল কখন আসেন দেখতে, ওদিকে কাকচিরাতে কাকেদের রাজা যোম কাকের কাছে চাদপুরী শেয়াল খবর দিয়ে গেল টিকটিকির মতো এক মানুষ এসে ভেড়াদের বিদ্রোহী করে তুলে হেঁড়েল বংশ ধ্বংস করলে, এবারে কাকেদের আর এটো-কঁাটা হাড়গোড় কিছু পাবার উপায় থাকবে না । মাংসখোর সব মারা গেল, কেইবা আর ভেড়া মারবে, ছাগল ধরবে। কাকচিরাতে কাকের ঘোট বসে গেল, কী করলে মানুষটাকে সরানো যায় দেশ থেকে, আর ভেড়া গরু ছাগল এদের আরো বেশি করে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া যায় —যাতে কোনো দিন তারা ফেরুপাল বা সনাতন স্বধর্মের ভুড়ো-শেয়ালেদের বিরুদ্ধে শিং চালাতে না পারে। নদী মাঠ আর জঙ্গল এই তেমাথার মধ্যে রয়েছে কাকচিরার না জঙ্গল, ন মাঠ, না পাহাড়, না বালুচর —দুরে থেকে দেখলে

  • ఏbr