পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোল হরিবোল ; ভীড়ের তলা শুকনো খালি । ওরে গরু বুদ্ধি সরু তোর নিত্যি কাট জাবোর আমি চলি ঝট শ্বশুর-বাড়ি, আছে পা-গাড়ি।’ আকাশে তখন দোয়াদশীর চাদ আলো দিচ্ছে চন্‌চন –পাচকোশি মাঠ ভেঙে ঘোষের পো চলেছে বেগে, হাজরা-পাড়া, তেগে ষাড় ছুটেছে যেন হনহন । থেকে থেকে দেখছে ঘাড় তুলি –এই লাগছে গো-ধূলি –ঠিক আর একটা পাকা দেখার দিনের মতন । কাছেই দেখছে যেন হাজরা-পাড়ার সাজের পিছম, তুলসী তলার মাথার উপর চাদট। যখন । '. নিশুন বাত, মাঠেব শেষ না পাই, ভূত পেরেতের ভয় নাই, চলেছে তো চলেছে একলাই গোবিন্দ ঘোষের আধা-বয়সী নাতজামাই । ভাবেতে তন্মন –ভাবছে ঠিক চলেছে পথ চিনি একাই ! এমন সময় টিং টিং টিং—ওকণী শুনতে পাই—যেন দাদাশ্বশুরের ঘড়ি বাজল টং টং ! ঘোষেব পোর মুখ বিবর্ণ, ঘাড়ের সাথে ফিরল কর্ণ, গোধূলির গোলাপি বর্ণ, কোথাও তার চিহ্নও আর নাই । গা-হাত-পা ঝিন্‌ ঝিন, মন বলল, এটা বাত না কি ? পিছনে শব্দ পায় টুপ-টাপ ঘুট-ঘাট, –যেন কাঠের খড়ম পায়ে হঁটিছে কেউ ভেঙে মাঠ ; নিয়ে তাবি পাছ । আর কোথা আছে । ঘোষের পোর ঘামে ভিজল আতর-মাথা মেরজাই ফিন্‌ফিন । —কে-বে! বলে দৌড় তো দৌড়, দড়া-ছেড়া গরুর দৌড়! টুক্‌টাক ঘুট-ঘাট, ছুটছে যেন গরুর পাছে গামলাটায় দিতে জাব ! তেপান্তর মাঠ জুড়ে শব্দ। ভূতের চকরে ঘুরে ঘোষজার শৌখিন প্রাণ হয়রান হল —যা এমন হয়নি (কানোদিন। তাতারস ছিল ঘোষের পোর ধাতে যথেষ্ট জমা । তাই ছুট দিতে সে ডাইনে-বায়ে SSలసి আ, ৩য়—২৪