পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্ত্রিক *y পেলুম পথের ধারেই । অম্বিক বললে, ওর মধ্যেই জামদহ ডাকবাংলোনদীয়াৰ্চাদবাবু বলেছিলেন। আমাদের জন্যে পথের ওপর লোক দাড়িয়ে ছিল । সে আমাদের বাংলোতে নিয়ে গেল । নদীয়াটাদবাবু অনেক প্রজা নিয়ে কাছারি করচেন। আমাদের যথেষ্ট অভ্যর্থনা করলেন। বনের মধ্যে একটা ইদারা, তার চারিদিকে সিমেন্ট বঁধানো-আমরা সেখানে স্নান করে ভারি তৃপ্তি পেলাম । আহারাদির পরে নদীয়াবাৰু বললেন- এখানে এই বনের মধ্যে আমায় তিন দিন থাকতে হবে। আপনারা যখন এসেচেন, তখন একটা রাত অন্তত আমার এখানে কাটিয়ে যান । আজ আর আপনাদের ਝੁਣਝੋ ਲਠੇਸ | আমাদের কোনো আপত্তি তিনি শুনলেন না । লোকটি বিশেষ ভদ্র ও শিক্ষিত, তেঁর অনুরোধ এডানো আমাদের পক্ষে সম্ভব হ’ল না । শালবনের নিস্তব্ধতার মধ্যে কি সুন্দর বৈকাল আর জ্যোৎস্নারাত্রি কাটলো ! মন একেরারে মুক্ত, পথের নেশায় মাতাল, কতদূর এসে পড়েচি পরিচিতের সীমা ছাড়িয়ে-এমন একটি সুন্দর রাত্রি জীবনে আর হয়তো না-ও মিলতে পারে। নদীয়াবাবু আমাদের কাছে বসে বসে গল্প-গুজব করলেন অনেকক্ষণ । কথায় কথায় বললেন-আপনারা যদি এসেচেন এ পথে, তবে লছমীপুর দেখে যান একবার। চমৎকার দৃশ্য ওখানকার । আপনারা খুশি হবেন। -এখান থেকে কতটা হবে ? -প্রায় সাত মাইল-তবে পাকা সড়ক ছেড়ে অন্য রাস্তায় যেতে হবে --জঙ্গল পড়বে খুব । রাত্রে শুয়ে আমি বন্ধুকে বললুম-জেলাবোর্ডের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে চলো আমরা আগে লছমীপুর দেখে আসি ।