পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্ত্রিক RR -একজন আছেন তঁর নাম আমি জানিনে, আমর-কণ্টকের কাছে <অনেক বন তিনি ইজারা নিয়ে কাঠ চালান দিতেন জানি । বন কোথাও কেটে ফেলেচে, একথা আমাব ভালো লাগে না । অর্থের জন্যে প্রকৃতির হাতে সাজানো আমন সৌন্দর্য-ভূমি বিনষ্ট করা বর্বরতা ছাড়া আর কিছু না । এমন একদিন আসবে যেদিন লোকে এ ভুল বুঝতে পারবে, কিন্তু আরণ্য-সৌন্দর্য তখন পৃথিবীতে কোথাও অবশিষ্ট থাকবে কিনা কে জানে ? এখান থেকে দারকেশা মাত্র দশ মাইল । সন্ধ্যার মধ্যে সেখানে পৌছনো যাবে। আমি আমার সঙ্গীদের বললুম, কাৰ্গিরোড থেকে মোটে বত্রিশ মাইল শুনেছিলাম দারকেশা, এতো তার অনেক বেশি হয়ে গেলওরা বললে-বাবু চল্লিশ মাইলের ওপর ছাড কম হবে না, তবুও আপনাকে আমরা খানিকটা সোজা পথ দিয়ে এনেচি । আসল পথটা ‘সুরানো, কিন্তু এর চেয়ে ভালো । সালকোণ্ডা। চুনের ভাটি ছাডিয়ে জমি ক্রমশ নিচু হয়ে গেল। যখনই এমন হয় তখনই আমি জানি এবার নিশ্চয়ই কোনো নদী আছে সামনে । হ’ল ও তাই, একটি খবস্রোতা পাহা উী নদী পািডলো সামনে, তার নামও সালকোণ্ড।। নদীর ওপর কাঠের গুডি ফেলে দিয়ে পুল তৈরি করা, তার ওপর দিয়ে ঘোড়া যাবে না, অথচ নদীর বেগ দেখে মনে হ’ল, না জানি গভীৰতাই বা কতটা । ঘোডা নামিয়ে দিলাম । দেখি ক্রমশ জল বা ডচে, ক্রমে আমার এমন অবস্থা হ’ল রেকা ব থেকে পা তুলে পা দুপানী মুডে জিনের দুপাশে নিয়ে এলাম, তখনও জল বাডচে । পার্বত্য নদীতে বুষ্টি নামলেই আর দেখতে স্বহবে না, কোথা থেকে যে জল বাড়বে ! জিনে পর্যন্ত জল ঠেকিয়ে তখন ঘোড়া দেখি আর একটু উঁচু জায়গায় পা পেলে। ডাঙায় উঠে এমন গা