পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

杂德令 অভিযান্ত্রিক যেখানে বড় বড় গাছের ছায়া, ঝরনার জল কাছে, বসবার উপযুক্ত শিলাখণ্ড পাতা, পাখীর কাকালীতে বনভূমি মুখর। তারপর মানদারু জায়গাটা ডালপালা ভেঙে পরিষ্কার করতো, আমরা কম্বল পেতে ফেলতুমি তিন চার খানকখনো বা জোড়া দিয়ে, কখনো আলাদা আলাদা । কিন্তরকমের গল্প হ’ত, চা চডতো, আমরা চা খেয়ে খুঘ খানিকটা বিশ্রাম করে ঝরনার জলে নেয়ে আসতুম-এদিকে মান্দারু রান্না চডিয়েচে, আরও কিছুক্ষণ বসবার পরে মানদারু শালপাতায় আমাদের ভোজ্য পরিবেষণা করতো । খেয়ে-দোয়ে ঘণ্টাখানেক সবাই ঘুমিয়ে নিতো, তারপর আবার উদ্যোগ করে তাবু উঠিয়ে সবাই মিলে রওনা হওয়া যেতো । কোনো উদ্বেগ নেই, চিন্তা নেই মনে-দুৱ কোনো বৃক্ষচুড়ায় ময়ূরের ডাক, বনের ডালপালায় বাতাসের মর্মর শব্দ, ঝরনার কলতান, প্রচুর অবকাশ ও আনন্দ, এ যেন আমরা আবার আমাদের প্রাচীন আবণ্য জীবনে ফিরে গিয়েচি । বিংশ শতাব্দীব কর্মবহুল দিনগুলি থেকে পিছু হেঁটে দায়িত্বহীন মুক্ত জীবনের আনন্দে আমাদেব মন ভরপুর। তা ছাডা, এই বিরাট বন্যপ্রকৃতির নিবিড সাহচর্য ও আমাদের সকলের মনে কেমন একটা নেশা জাগিয়ে তুলেচে । আমাদের মধ্যে একজন বললে, তার কোনো এক বন্ধু আলমোডা থেকে পায়ে হেঁটে হিমারণ্যের বিচিত্র সৌন্দযেব মধ্যে ওই পথে গঙ্গোত্রী যমুনোত্রী যাবাব জন্যে বেরিয়েছিল, সে আর ফিরে এল না । এখন ওইখানে কোনো জায়গায় থাকে, সাধুসন্ন্যাসীর জীবন যাপন কবে । হিমালয়ের Crei VSC35 v5svs kistists একদিন সন্ধ্যাবেলা আমরা একটি ক্ষুদ্র গোন্ড বস্তিতে পৌছুলাম । আমাদের থাকবার উপযুক্ত ঘর নেই। সেখানে, ছোট ছোট কুঁড়ে ঘর, তাদেরই জায়গা কুলোয় না। অবশেষে একটা গোয়াল ঘরে আমাদের