পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ । অমর কুমার বৎসরের শেষে, হিসাব নিকাশের সময়ে সুদের হিসাবে কয়েক হাজার টাকা পাইলেন। নূতন বৎসরে, ইউল । সাহেবের স্বত্ব চেষ্টার ফলে, কোম্পানীর কলিকাতা ব্রাঞ্চের অংশীদার রূপে পরিগৃহীত হইলেন। অর্থাগমের সহজ পথ দিন দিন প্রশস্ততায় হইতে লাগিল। অমর কুমার এখন ইউল সাহেবের দক্ষিণ হস্তু, আফিসে । একপ্রকার সর্ব্বেসর্ব্ব । বড় বাৰু মথুরানাথ দত্ত মহাশখণ্ড এখন । অমরবাবুকে মান্য করিয়া চলেন, সময়ে সময়ে ভয়ও করিতে হয়। অমরকুমার দেশে উত্তম পুষ্করিণী খনন করােনর সঙ্গে সঙ্গে ইট, পোড়াইয়া, পুর্বে প্রস্তুত নক্সা অনুযায়ী, সুবৃহৎ অট্টালিকার সুচনা করিয়াছেন। সর্ব্বাগ্রে সদর বাটীতে পূজার দালান ও বৈঠকখানার : ঘর প্রস্তুত হইতেছে। ক্রমে অন্দরমহলের ঘর দরজার সূত্রপাত হইতেছে। একজন লোক কর্ম্মচারীরূপে সমস্ত কাজের পয্যবেক্ষণ ভার লইয়া সেখানে দিবারাত্রি বাস করে। সকল কাজ সেই দেখে, অমরবাবু, . শনিবার বাড়ী যান। শনি রবিবার জ্যাঠাইমায়ের যত্নে আহারাদির কোন অসুবিধা হয় না। কখন রবিবার সন্ধ্যায়, কখন সোমবার প্রাতঃকালে কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন। দুই বৎসর পার হইয়া তৃতীয় বৎসরের মধ্যভাগে বাড়ী ঘর সমস্ত মনের মত প্রস্তুত হইয়া গেল - পুকুরের জল উত্তম হইয়াছে। অন্দর ও সদরে দুদিকে পাকা, ঘাট । চারিদিকে আধুনিক ধরণের রুচিঅনুযায়ী সারিবন্দি বৃক্ষসকল ত্বরায়, বাগানের সৌষ্টৰ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করিবে, তাহার আভাস দিতেছে। গোবিন্দ বাৰু গৃহিণীর অনুরোধে নিজেদের ভূদ্রাসন রক্ষায় ও সে সকলের সংস্কারো মনোযোগী হইয়াছেন। অনেক দিন কলিকাতায় - re