পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

የeNሻቕ-8{iኻÍ ! অমরকুমার নীরবে কার্ত্তিকচন্দ্রকে বক্ষে ধারণ করিতে না করিতে, উভয়ের চক্ষে জলধারা প্রবাহিত হইল। গৃহিণী গভীর মনস্তাপে হায় হায় করিতে করিতে আক্ষেপভরে বলিলেন, “হায়, আজ যদি সে থাকতো, না হয়। সতিনের ঘরই হ’তো, তাতেও এত দুঃখ হ’তে না । এ আনন্দের দিনে, এ সুখের দিনে, সে দুঃখের স্মৃতি এত জ্বালায় কেন ?” লক্ষ্মীও দাদাকে প্রণাম কবিল। খোকা হেমন্তকুমার বাপমায়ের চোখে জল দেখিয়া, ততোধিক বাপ মায়ের নূতন পোষাক দেখিয়া অবাক হ’য়ে মায়ের কাছে ব’সে আছে ; লক্ষ্মী যে তার “মায়ের বোন মাসী কাদায় ফেলে ঠাসি"; এ তত্ত্ব এখনও তাহার হৃদয়ঙ্গম হয় নাই। লক্ষ্মীর সাবধানতায়, ততোধিক তাহার অকৃত্রিম স্নেহ মমতার ফলে বালক লক্ষ্মীকেই তাহার মা বলিয়া জানিয়া রাখিয়াছে। কার্ত্তিকচন্দ্র লক্ষ্মীর গলায় একছড়া বহুমূল্য নেকুলেস দেখিয়া, তাহার। নির্ম্মাণ কৌশল ও মণিমুক্তার সংস্থান পরিপাট্য দেখিয়া অবাক হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ কে দিলে ?” অমর বলিলেন, “ইউল সাহাবের মেম যাবার সময়ে চুপে চুপে কি কথা কহিয়া গলায় পরাইয়া দিয়া গিয়াছেন ।* বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রদত্ত কারুকার্য্য-খচিত স্বর্ণকিঙ্কণ উদরে সধবার চিহ্ন “খাড়,” ধারণ করিয়া লক্ষ্মীর বাম করে বিরাজ করিতেছে। অমর কুমায়ের বাসার বন্ধুরা ও আত্মীয় স্বজনদের সমবয়স্কগণ নানাবিধ উপহার দিয়াছেন, সে গুলিও কার্ত্তিক স্বাবুর প্রদত্ত খাট, শষ্যা ও অন্য দান সামগ্রীর পার্শ্বে স্বতন্ত্র স্তুপীকৃত হইয়া বহিয়াছে। A. ক্রমে রাত্রি অনেক হইয়া গেল। গৃহিণী খোকাকে লইয়া কিছু R »