অমরনাথ । ఫిసి" চিরকাল একত্রে, আর উনি আমার চেয়ে প্রায় চার বচরের ছোট ; কিন্তু উনি যখন কথা কন, তখন আমরা অবাক হয়ে ই কোরে ঐ মুখের দিকে চেযে থাকি। আমণব এইখেনে ছাড়া আর কোনস্থানে যাওয়া নেই, কিন্তু কোথা থেকে যে সব নুতন নুতন কথা, নুতন ঘূতন ভাব আসে, কিছুই বলা যায় না। আর লেখা পড়ার কথা তুমি বোললে বালিকাবিদ্যালয়ের প্রধান। তোমার এইই সীমা বোধ হল । তবে তোমাকে দ্যtখাতে হল, ( বাক্স হইতে একখানি চিঠি লইয়া প্রদান ) এইখান। পড় দেখি । সুসাব । ( চিঠি পাঠ ) • প্রিয়সখি ! তোমার ইচ্ছানুযায়ী লীলাবতী নাটকখানি পাঠে যথোচিত সন্তোষ লাভ করিলাম। ঐ গ্রন্থ প্রকাশ কালে উহার দোষ গুণ সম্বন্ধে পেটুরিয়ট যাহা বলিয়াছিলেন, তাহার কতকগুলি কথার প্রতি আমার অতি সামান্য বুদ্ধিতে প্রতিবাদ উপস্থিত হইতেছে। প্রথমতঃ তিনি স্বীকার করিয়াছিলেন যে, উক্ত গ্রন্থ পাঠের্তাহীর অশ্রুপাত হইয়াছিল ; এবং গ্রন্থকর্ত্তার কৌতুক-শক্তিরও প্রশংসা করিয়াছেন। তবে নাটকের যে প্রধান দুটি গুণ, তাহ সম্যক রূপে যে লীলাবর্তীতে প্রকটিত হইয়াছে, পেটুরিয়ট কর্তৃক সেটি স্বীকৃত হইল। কিন্তু তবে আবার কি নিমিত্তে ঐ গ্রন্থকে নাটক সম্বন্ধে মধ্যম বলিয়া পরিগণিত করিয়াছেন, তাহা বলা যায় না । হরবিলাসের বিষয়ে পেটুরিয়ট বলিয়াছেন যে, এটা গ্রন্থকর্ত্তার ভ্রম। কেননা হরবিলাস ধর্ম্ম সম্বন্ধীয় সকল বিষয়ে শিথিলপ্রযত্ন হইয়া, ক্ষুদ্ধ কৌলীন্যের প্রতি এতাদৃক অধ্যবসায় প্রকাশ করা সম্ভব হয় না । কিন্তু জনপদে দৃষ্টি করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে এক এক ব্যক্তির একৈক বিষয় সম্বন্ধে এতদ্রুপ দৃঢ় সংস্কার থাকে যে, যদিও অন্যান্য গুরুতর ব্যাপারে সে মতের বিপরীত কার্য্য করা হয়, তথাচ সেই বিশেষ বিষয়টি উপস্থিত হইলে সে ব্যক্তির কার্য্য এবং কথাতে এমনি বোধ হয় “শ্যাম যেন সে শ্যাম নয়”। অনেকে এমন আছেন ঈশ্বর মানেন