পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরনাথ । :్చ নীল। ইঁ্যা, ওর শরীরে সবই গুণ। ওতে খাদ নেই, খাটি। চারু। যেম’নারিকেলটি । নীল । কিও ? ঠাট্ট কোচ্চ নাকি ? চারু । বিলক্ষণ ! ঠাট্ট হল এটা ? অর্থাৎ এই যে নারিকেলের সকলি গুণ। ওর জলেতে পিপাসা নিবাবণ, সাসে ক্ষুধা নিবারণ, মালাতে হকো, ছোবড়াতে জ্বালানি কাঠ, আবার ভদ্রকুলে নৌকা বাধবার হামার, এই এতগুলি হয়, ওর আর কিছুই বাদ গেল না। তা যাক, তুমি যে আমাকে বোলুলে যে তোমারও কি গোরু হারান রকম নাকি ? এর কিছু মানে আছে। এই ও শব্দটিতে কিছু আছে। নীল । ও শব্দটা আমাৰ হঠাৎ বেরিয়ে পোড়েছে । তা কি করি, যখন তুমি ধোরে ফেলেচ তখন বোলুতেই হল। তা ভাই ক্ষুন্ন হইও না, এটা স্বাভাবিক । চারু। তুমি ভারি হিসিবী, বাড়ী কববার আগে নদীর পোস্তা বেঁধে রাখলে। ভাল, কথাটা কি তা শুন্‌লিই স্বাভাবিক কি অভাবিক তা বুঝতে পারা যাবে এখন । নীল। সই! তুমি যে এক রকম হয়ে থাকলে মন্দ না । যেমন শুনিচি কালীঘাটের কালীর শরীর ষে দেখে তার চক্ষু অন্ধ হয়, তেমনি যে, তোমাকে দেখে লোক পাগল হতে লাগল। ঐ একজন বিয়ে পাগলা ঠাকুর সেতে শুনতে পাই বলে খেপে উঠেচে। আরও যে কত লোকের শরীর মশ্র মশে কোরেছে এখনও জ্বর প্রকাশ হয়নি এমন যে কত আছে তা বলা যায় না। আবার এই এমন যে সুসারময়, যাকে দেশ স্থদ্ধ লোকে বুঝিয়ে দেখে ক্ষান্ত হয়েচে, কোনমতেই সে বিবাহ কোরবেন, সে ব্যক্তিও তোমাকে দেখে পা হোড়কে এমনি অtছাড় খেয়েছে যে, তার আর ওঠা ভার।