পাতা:অমৃত গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** অমৃত-গ্রস্থাধলা। তপস্বীর কি প্রয়োজন ? তবে কি ভিক্ষায় সসাগর ধরা লাভের লোভেই বিশ্বামিত্র ধন্থরাণের সতি আপনার স্থত্ররাজ্য বিসর্জন দিয়েছিলেন ? - রাজা। দেবি, দেবি ! অভিমানে আত্মবিস্তৃতা হয়ে না । শৈব্যা। উদ্বিগ্ন হবেন না মহারাজ, শৈব্যা ক্ষত্রিয়াণী, রাজরাণী, আপনার মহিষী। ষে রমণী বিশ্ব-জয়ী পুত্র প্রসব করতে পারে, সে পৃথিবীদানে কাতর হয় না। আমি জানি যে, ধরণী ক্ষত্রিয়সস্তানের ক্রীড়ার বস্তু, সে ইহা হেলায় দান, হেলায় গ্রহণ করতে পারে,কিন্তু আমি এও বুঝতে পারছি যে, মহারাজ এ স্থলে কোন কৌশলে - রাজা। থাক দেবি, ষ হয়েছে, তা হয়েছে, আমাদের আর এখানে তিগান্ধ থাকবার অধিকার নাই ; এস, তোমাকে আর রোহি তাশ্বকে তোমার পিত্রালয়ে রেখে আমি বিশ্বেশ্বরের রাজ্য বারাণসীতে যাই । শৈব্যা । পৃথিবীনাথ ! ব্রাহ্মণের পরিতোষবিধানের জন্য পৃথিবী দান করেছেন, কার পরিভোষের জন্য ধর্ম্মপত্নী ত্যাগ করবেন ? ১ রাজা। অভিমানিনি আমার ! তোমায় কি পরিত্যাগ করছি ? প্রিয়ে ! ভিক্ষুকের সঙ্গে কোথায় যাবে ? শৈব্যা । নাথ ! আমি মতিহীন অবলা, কিন্তু পতির সঙ্গে মে কেবল রাজসিংহাসনেই বসতে হয়, এমন শাস্ত্র তো কোথাও শুনিনি । রাঞ্জলক্ষ্মী এসে তো আর আমার সিঁথিতে সিন্দুর পরিয়ে দেননি ; চঞ্চল যা’কে ইচ্ছা বরণ করুন না, আমি র্যা'কে বরণ করেছি, उँींद्रहे कांटकृ थांकाशा । রাজা । আদরিণি ! রাজবালা রাজরাণী হয়ে আজ কেমন ক'রে দুঃখ সহ করবে ? শৈব্যা। যিনি খুজিয়াজেশ্বরকে ভিক্ষার বুলি বহনের বল দেবেন, তিনিই তার দাসীকে তার পক্ষসেবা করতে শিক্ষা দেবেন। মহারাজ ! কেন বিস্তৃত হচ্ছেন,—যে আদরিণী হই, জতিমানিনী হই, রাজরাণী হষ্ট, ঐশ্বর্য্যশালিনী হই,সকলই আপনার অৰ্দ্ধাঙ্গভাগিনী ব’লে। আজ যদি আপনি ইন্দ্রস্তু পেতেন,আমি শচীরূপে পারিজাত-হার প’রে আপনার বামে বসতেম। বিধাতার নিয়মে যদি আপনার ভিক্ষা করতে হয়,তবে আমিই আপনার সহচরী হয়ে কলঙ্ক বহন করে বেড়াব। হিমালয় নন্দিনী জগজ্জননী পতির সঙ্গে যোগিনী সেজে কাঞ্চনকায় ভস্ম-ভূষিত করেছিলেন । মহারাজ ! জানবেন,আমার ও সেই মহাশক্তির অংশে জন্ম। পৃথ্বীনাথ! পুরুষের বল তার সর্ব্বশরীরে বিভক্ত, কিন্তু রমণীর সমস্ত বল তার হৃদয়ে । রাজা। শৈব্যা! শৈব্যা! তুমি কি আমার সেই শৈব্য ? আমার কুমুম-হার-ভারবহনে কাতর। শৈব্য ? আমার কথায় কথায় অভিমনিনী শৈব্য ? আমার আদরিণী গরবিণী শৈব্যা ? শৈব্য । ই নাথ, আমি সেই শৈব্যা । তুমি আদর করেছিলে, তাই আদরিণী, তুমি অভিমান সয়েছিলে, তাই অভিমানিী, তুমি গরব বাড়িয়েছিলে--তাই গরবিণী । আমার আদর, গরব, অভিমান, সোহাগ সবই তোমার জন্য তোমায় নিয়ে । তোমার সঙ্গে সঙ্গে আমার সবই থাকবে । তুমি আদর ক’রে আমায় চন্দন মাথাতে, আমি চন্দন মাখন্তেম না, তোমার আদর মাথতেম; আদরে ধূলা মাখিও, আমি সেই সোহাগে তোমার আদরই মাখবো । রাজা । কোথা বিশ্বামিত্র ! এস, দেখ দেখ, তুমি কি সামান্ত ঐশ্বর্য নিয়েছ। দেখ এসে । দেখে যাও, তুমি হরিশ্চন্দ্রকে কাঙ্গাল করতে