পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রা: সাধনা কতদিন চালাইবেন ? অথচ বীরেশ্বরের বাড়ীর সকলে আসিলে যে রকম খরচ করিতে হয়, ঘন ঘন সে রকম খরচ করিবার ক্ষমতাও সাধনার নাই। তা ছাড়া, বীরেশ্বরের বাড়ীতে দুটি পরিবারের মিলনে যত হাসি আনন্দই সৃষ্টি হোক, বার বার এ কথা কার না মনে পড়িতে থাকে যে, এ বাড়ীতে যাদের চিরদিন এ-বাড়ীরই লোক হইয়া বাস করিবার কখা তাহার বেড়াইতে আসিয়াছে সাময়িক অতিথির মত এবং তাহারা আসিয়াছে বলিয়াই এ বাড়ীতে আজ এই অতিরিক্ত হাসি-আনন্দের সৃষ্টি ? এদিকে সাধনার বাড়ীতে আসিয়া বীরেশ্বরের বাড়ীর সকলে নড়াচড়া করিবার স্থান পায় না, বাড়ীতে যেন জনতার সৃষ্টি হইয়াছে ! সব চেয়ে বেশী কষ্ট হয় শঙ্করের মার। সাতাশ টাকার চেয়ে কম দামী সাড়ী পরিয়া বাড়ীর বাহির হইলে তার বিষাদের সঙ্গে মিশিয়া যায় মাথা-কাটা-যাওয়া লজ্জা অথচ সাতাশ টাকার সাড়ী যে তাকে ভেংচায় এ অনুভূতিটা অন্য সব যায়গায় অস্পষ্ট থাকিলেও সাধনার বাড়ীতে ঢোকা মাত্র স্পষ্ট হইয়া উঠিতে আরম্ভ করে। কিছুক্ষণ পরেই আর যেন সহ্যু হঈতে চায় না। সাতাশ টাকার সাড়ী দিয়া নিজেকে নিজের ভেংচানো । (ሉ b”