পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ului অমৃতস্য পুত্রাঃ না একটু চোখে আসি ? রাত্তির বেলা তালের রস-কি মজাই হবে । বস্তু-তান্ত্রিকতার এই রোমান্সের পরিচয় শঙ্কর ভাসা ভাসা ভাবে রাখিত—লোকের মুখে শুনিয়াছে, মনস্তত্ত্ববিদের মুখে । রোজ যে পাচসিক দামের সাবান মাখে, ধূলায় গড়াগড়ি দেওয়া নাকি তার কাছে রোমান্সের চরম । অপরাহ্ন হইতেই নিজের মনের মধ্যে বসিয়া নিজেকে শঙ্কর ঘূণা করিতেছিল, এখন রীতিমত চাবুক মারিতে আরম্ভ করিয়াছে। তবু, সেই, যন্ত্রণাতেই যেন সে এশটা অদ্ভুত বেপরোয়া ভাব অনুভব করিতে লাগিল, বোধ করিতে লাগিল নিজেকে নিজে পীড়ন করার মত অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হইয়া উঠিবার তাগিদ। মেরুদণ্ড টান করিয়া এতক্ষণ সে সোজা হইয়া বসিয়াছিল, একবার মিসেস সেনের দিকে একটু হেলিয়া ঠেসান দিয়া বসিল। তাতে খুসী হইয়া নিসেস সেন হোটেলে লীলামায়ের ঘাড়ে যেমন একটা চড় মারিয়াছিলেন, শঙ্করকেও তেমনি একটা চড় মারিয়া আদর করিলেন। লীলাময়ের সিগারেটের আগুনে তার অংাটির পাথরটা বিপদ-জ্ঞাপক লাল আলোর মতই চমকাইয়া br8