পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসমীয়া সাহিত্যের শৈশব ও কৈশোর ఏ 6 প্রথম প্রণয়ের রীতিই হইতেছে চক্ষতে চক্ষতে চাওয়া—চারি চক্ষের সলঙ্গজ মিলন। কালিদাসের উপমায় বলিতে গেলে— পপেী নিমেষালসপক্ষয়পংক্তি রপোষিতাভ্যামিব লোচনাভ্যাম— দেখিয়া দেখিয়া তৃপ্তি নাই—নয়ন ন তিরপিত ভেল—চক্ষ উপবাসী। সজাত বন্দী হল, সজারে মইনা শালত বন্দী হল হাতী । মকরা জালতে মোর ধন বন্দী হল টোপনি নাহে মোর বাতি ॥

তাল হৰি দি দে আল আনা হন ।

| ধন যেন দেখোঁ মই তোমাকে বহনা, প্রাণ যেন দেখোঁ মই তোমাক । কেচা ঘনমতিত হেবাই যেন দেখিলো কাক পাই তেজিল আমাক ৷ কাহাকে পাইয়া প্রিয় আমাকে ত্যাগ করিল। চিরবিরহিণীর এই বিয়োগব্যথা বিহু কে রসলোকে পৌছাইয়া দিয়াছে। পববঙ্গে ও আসামে নৌগীতি প্রসিদ্ধ। এর ঐতিহ্যও বহুদিনের। আসামে ইহাকে বলা হয় নাওখেলোবা গীত। পববঙ্গে বিশেষ করিয়া ময়মনসিংহ ও আসামে মলয়ার গীত শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরিয়া সখে দুঃখে উত্থানে পতনে নিরক্ষর গ্রামাজনকে মুগধ করিয়া আসিয়াছে, বেদনাচঞ্চল প্রেমহিল্লোলে রোমাঞ্চিত করিয়াছে। মলয়া গীতির অসমীয়া ও বাংলা দইরাপই আছে এবং বিশেষভাবে বিচার করিলে দেখা যায় যে ইহাদের মধ্যে ভাষাগত, বিষয়গত, প্রকৃতিগত বিভেদ খুবই অলপ। অসমীয়া সাহিত্যের এই যুগের বহন কবিতা, গান, ডাকের বচন :সমসাময়িক বাংলার ঐরাপ কবিতা, গান ও ভণিতার সহিত অঙগাণ্ডগীভাবে জড়িত। কাব্যসম্পদ ও মনের বৈচিত্রোর চিত্র হিসাবে এই কবিতাগুলি অনবদ্য, যেমন মোর মলবোক কেনে মারিলে অ মোর মলবো রে অ মোর মলবো রে । নেঠা নেঠা করে তাই নেঠা আনি দিলোঁ মই নেঠাত ধরি ধরি কান্দে অ মোর মলবো রে। শতাব্দী পার হইয়া কালের সীমানা অতিক্রম করিয়া পতন-অভু্যুদয়-বন্ধর পথ বাহিয়া বন্ধরে রথ আসিয়া জিজ্ঞাসা করিতেছে—অ মোর মলয়া রে। গ্রাম্যকবির এই আক্ষেপ ও আকৃতি আজও বাঙ্ময় হইয়া আমাদের হৃদয়কে বিচিত্রভাবে পশ"