পাতা:অহল্যা হড্‌ডিকার জীবন বৃত্তান্ত.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ই ৯ ঙোমার এইরূপ অসম্ভব আকাঙ্গাতে ভৰিয়াড়ে আমাদের উভয়কে কতই ষে যাতন পাইতে হইবে তাহার সীম পরিশেষ নাই । যাহা হউক, আমি তোমার শরণাগত ও আঞ্জিত, আশ্রয়হীন অধীন ব্যক্তিকে পরিত্যাগ কর। উচিত নয়। সুন্দরি ! আমি বিনয় করিয়া প্রার্থনা করিতেছি, আশাবারি প্রদান করিয়া তুমি আমার এই তাপিত প্রাণকে স্নিগ্ধ করিতে অসম্মত হইও না ’ । • অহল্য বলিল নিতান্ত কাপণ্য প্রকাশ করা মনুষ্যের সর্ব্ব প্রকারে অকর্ত্তব্য। আদি শঠতা করিয়া তোমার আশিবারি বৃদ্ধি করিতে পাধি না । বিধাতা জামাদের উত্তয়ের সম্মিলনে প্রতিবন্ধক স্বরূপ একখান অতি জ্ঞারি প্রস্তর স্থাপিত করিয়াছেন, সহজে উহা স্থানান্তর করিবার সুযোগ নাই। অতএব গৌতম ! নিশ্চয় কহিতেছি, আমি কোন প্রকারে তোমার পত্নী হইতে পারিব না। গৌত্তম কহিল “ অহল্যে । তুমি দৈবের উপরে মিথg দোষারোপ করিও না । দৈব আমীদিগের সম্মিলনে প্রতিবন্ধক নহেন, তোমার নিজ অভিমান এবং অহঙ্কারই প্রতিবন্ধৰুের মুল কারণ"। এই কথা বলিয়া গৌতম বিলাপ, করিতে লাগিল । . . হড়িককন্যা এই কথাতে অধোবদন হইয়া গৌতমকে সম্বোধন পুর্ব্বক ৰুছিল, “তুমি যাহা ইচ্ছ। তাহ বল ; কিন্তু আমি যাই মনে মনে স্থির করিয়াছি, কিছুতেই তাহার অন্যথা হইচে পরিবে না। তুমি অন্য কোন রমণীকে অপন মনোনীত করিয়া লও। আমার অদৃষ্ট যাহা আছে, তাছাই হইবে। তুমি আমার প্রত্যাশা আর এক দিনের fনমিত্ত্বেও করিও না”।