# 88 } শু{হার অন্তঃকরণে যে সকল বস্তুর ভাবনা অহরহঃ স্বাগরক ছিল, নিদ্রাকর্ষণের পর সেই সকল বস্তু স্বপ্নযোগে সে দেখিতে লাগিল ।--* ম : ক্ষেসভাসদ অমাতা বর্গকর্তৃক যেন সে চতুৰ্দ্ধিকে পরিবেষ্টিত হইয়া রহিয়াছে, সহস্ৰ সহস্ৰ লোক তাহার সম্মুখে করপুটে দণ্ডায়ক্ষম হইয় তাহাকে বন্ধন করিতেছে । ভদ্রলোকেরা আর তাহাকে অত্যপরষ্ট হীন জাতি বলিয়, পরিগণিত করে ন! । পুর্ব্বে তাহার! তাহার প্রতি যেরূপ অবজ্ঞ ও অশ্রদ্ধ প্রকাশ করিত, এখন আর তৎপ্রতি তাহদের সেরূপ ভাব নাই, এক্ষণে যেন সে উত্তম মধ্যম সকল জাতিরই মাননীম; এবং পু জনীয়া হইয়া উঠিয়াছে ” । নিদ্র ভঙ্গ হইলে অহল্যা এতাদৃশ আশ্চর্য্য স্বপ্ন দর্শনে সাতিশয় বিন্মিত হইয়া, আহাদে একেবারে ক্ষিপ্তের ন্যায় হইল, ক্ষণমাত্র আর সেই শান্তিহীন শযায় শয়ন করিয়া স্থিরভাবে স্থিতি করিতে পারিল না । ব্যস্তসমস্ত হইয়া হড়িকপুত্রী গাত্রোন্ধানপুর্ব্বক প্রাতঃকালের অরুণরাজকে প্রণাম ও বন্ধন করিবার নিমিত্ত গুহের বহির্গভু হইল। গিয়া দেখিল অরুণকিরণের প্রভাবে মাস্ত দিল্পগুল একেবারে আলোকীরুত হইয়াছে, পক্ষিগণ আনন্দ ধ্বনি করিয়া ইতস্ততঃ কেলি করিয়া বেড়াইতেছে । তদর্শনে অবলা বালার অন্তঃকরণ বিমোহিত হুইয়া উঠিল । সে মনে মনে বিবেচনা করিল স্থর্যজ্ঞেয় মানবজাতির দুঃখকৈ বুঝি পরিহাস করিবার নিমিত্রই নিজ গৌরব প্রকাশ করিয়ছেন। তখন স্থিরচিত্তে দুঃায়মান হইয়া সুন্দরী স্তৰ স্তোত্র পূর্বক উহাকে ৰন্ধনপ্ত প্রণাম করিতে লাগিল । ; : * ,
