গেল। তিনি অত্যন্ত কষ্টে পড়িলেন। লা ব্লোন্দ নামে তাঁহার এক তরুণী পরিচারিকা ছিল। তাঁহার দুঃসময় ঘটাতে, কেবল সেই তাঁহাকে পরিত্যাগ করিয়া গেল না, আর সকলে চলিয়া গেল।
কিছুদিন পরে, মিজিয়নের মৃত্যু হইল। তাঁহার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান রহিল। কিন্তু তাহাদের ভরণপোষণের কোনও উপায় ছিল না। তাহাদের দুরবস্থা দেখিয়া, লা ব্লোন্দের অত্যন্ত দয়া উপস্থিত হইল। সে, দাসীবৃত্তি করিয়া, ক্রমে ক্রমে পনর শত ফ্রাঙ্ক[১] সঞ্চয় করিয়াছিল, সমুদয় তাহাদের ভরণপোষণে সমর্পণ করিল। ইহা ভিন্ন, তাহার কিছু পৈতৃক ভূসম্পত্তি ছিল, তাহা হইতে সে দুই শত ফ্রাঙ্ক[১] উপস্বত্ব পাইত, তাহাও তাহাদের ব্যয়ে নিয়োজিত হইল। এইরূপে, সে ঐ অনাথ পরিবারের প্রতিপালন করিতে লাগিল। এই দয়াশীলা পরিচারিকাকে নিযুক্ত করিবার নিমিত্ত অনেকে অভিলাষ করিতেন। কিন্তু সে, এইমাত্র উত্তর দিত, আমি যদি ইহাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া যাই, কে ইহাদের ভরণপোষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবে।
কিছু দিন পরে, মিজিয়নের পত্নীর উৎকট রোগ জন্মিল। ইতঃপূর্ব্বে লা ব্লোন্দ এই নিরুপায় পরিবারের ভরণপোষণে সর্ব্বস্ব ব্যয় করিয়াছিল, তাহার হস্তে আর কিছুই ছিল না। তাহাদের নিমিত্ত, অবশেষে সে, বসন, ভূষণ প্রভৃতি যাহা কিছু ছিল, সমস্ত বিক্রয় করিল।