পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী কি দুঃখের বিষয় যে আমাদের দেশের মেয়ের অস্বাস্থ্যকর অন্দরের মধ্যে আবদ্ধ থাকিয়া বহির্জগতের কোনও সম্পর্কে আসিতে পায় না, কূপমণ্ডুকের ন্যায় জীবন যাপন করিতে বাধ্য হয়। ইহার ফলে তাহার ছেলেবেলায় ম্যতার নিকট হইতে যে সমস্ত ভ্রান্ত শিক্ষা ও কুসংস্কারগুলি শিখে, সেগুলি তাহাদের মনে ধ্রুব সত্য বলিয়া গাথিয়া যায়, বড় হইয়াও আর সেগুলি ভুল বলিয়া বুঝিতে পারে না ; কাজেই আবার নিজেদের ছেলেদের সেইমত শিক্ষা দিয়া থাকে ; এইরূপে ভুল শিক্ষাগুলি তাহাদের অস্থিমজ্জাল্পত হইয় উঠে। * বাস্তবিক আমাদের বালিকা বধূদের চরিত্র ঠাকুরমাদের দ্বারাই গঠিত হইয়া থাকে । আমরা ‘হোমরুল’ সম্বন্ধে অনেক কথা কাটাকাটি করিয়া থাকি কিন্তু অন্দরের ভিতর যে ঠাকুরমারূপী একজন যথেচ্ছাচারী সম্রাট রহিয়াছেন, এবং তিনি বালিকা বধূদের অনুমাত্র ব্যক্তিত্ববিকাশের স্থযোগ না দিয়া যথেচ্ছ ছাচে ঢালাই করিতেছেন, একথা একেবারেক্ট ভুলিয়া যাই। এইরূপে শিক্ষিত যুবকদিগের জীবনে দুটি ভাগ দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার একটির সহিত আর একটির কোন সম্পর্ক নাই । বৈঠকখানায় তাহার উপনিবেশগুলির ন্যায় ‘হোমরুল’ পাইবার জন্য বিস্তর বাক্বিতণ্ডার পর অন্দরে প্রবেশ করিয়া খেলাঘরের পুতুল খেলা আরম্ভ করেন। তাদের জীবন-সঙ্গিনীগণ জ্যান্ত পুতুল ছাড় আর কি ? - এই সব জ্যান্ত পুতুলের নিখুত ছবি রবীন্দ্রনাথের নিপুণ তুলিকায় চমৎকার ফুটিয়াছে – ( বাসর শয়নে ) বর | জীবনে জীবনে প্রথম মিলন সে মুখের কোথা তুলনা নাই।