পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতিভেদ ১৩৭ SAMMMAMMAAA AAAA AAAA AAAA AAAMMMA MAAA AAAASASASS .-l.m. AAAAAA AAAA AAAAMMSJJAMM AJJJJJAMAMMJJAAAS স্বচ্ছন্দ আদানপ্রদ্ধানে বিভিন্ন জাতি মিলে মিশে এক হ’য়ে গেল । বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণের আরও কতকগুলি স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। বাঙ্গালীর মুখাবয়ব ও শরীরগঠন দেখে তাকে কোনমতে থাটি আর্য্যসস্তান বলে মেনে নিতে পারা যায় না। মণিপুর, কোচবিহার, . ত্রিপুরা প্রভৃতি রাজবংশ খাটি আর্য্যবংশ বলে পরিচিত হ’তে মুনি । শুধু তাই নূয়, ব্রাহ্মণদের দক্ষিণ দিয়ে কুলজী তৈয়ারী করে আপন আপন বংশের ধারাকে টেনে টেনে কেউ স্বর্য্য, কেউ চন্দ্র কেউ বা শুক্র কেউ বা শিব পর্য্যন্ত নিয়ে যান। কিন্তু মুখের উপর যে ছাপট স্পষ্ট হ’য়ে আছে—তাতে তাদের চেহারায় মঙ্গোলীয় সংমিশ্রণ বেমালুম, ধরা পড়ে যায় । তারপর শক ও হিন্দু মিলে যে রাজপুত ও জাঠ প্রভৃতি ক্ষত্রিয় বংশের উদ্ভব হয়েছে একথা ইতিহাসসম্মত। • বাংলাদেশে ১১০ - ১২০০ বৎসর ধ’রে বৌদ্ধাধিকার ছিল । বিক্রমপুরে ও তার নিকট স্থানে আবিষ্কৃত তাম্রশাসনে বৌদ্ধযুগের বাংলার যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায় । এই সুদীর্ঘকাল ধ’রে নানাজাতির যখন অবাধ সংমিশ্রণ হ’য়ে এসেছে, যখন জাত আর আছে কোথায় ? খাটি আর্য্যরক্ত অনেক অনুসন্ধান করলেও মিলবে না । এ সম্বন্ধে কতকগুলি কথা “সমাজসংস্কাবু সমস্যায়” বলেছি, এখানে তার পুনরুল্লেখ নিম্প্রয়োজন ( “সমাজসংস্কার সমস্যা” ১০২–৬ পুঃ ) । বৌদ্ধপ্লাবনে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুধর্ম্ম এমন আশ্চর্য্যভাবে নিঃশেষ ও পেপ্রাপ্ত হয়েছিল যে আদিশূরের সময় বেদবিধি অনুসারে যজ্ঞ সম্পন্ন করবার উপযুক্ত ব্লাহ্মণ চেষ্টা করেও একজনও পাওয়া যায়নি। তাই রাজা কান্তকুম্ভ থেকে, মাত্র' পাচজন স্থব্রাহ্মণ নিয়ে এসে বাংলায় বসবাস করিয়েছিলেন । এরা পাচজনে বঙ্গদেশী কন্যার পাণিগ্রহণ করেছিলেন। সুতরাং বাংলার নব্যব্রাহ্মণের খাটিত্ব কোথায় ? আর এক আশ্চর্য্য কথা এই