পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী SJJJJJJS JJAMMAMMAMMM AMAJAAA AAAJJJAASAMAMAMAAAA যে দিন আমাদের জাতীয় চরিত্রে প্রবল অধিকার স্থাপন করিল, সেই দিন হইতে আমাদের উন্নতির মার্গ কণ্টকিত হইল।* সেই দিন হইতে হিন্দু জাতি কূপমণ্ডুক হইল, অহঙ্কার ও আত্মাদরে স্ফীত হইয়া জগতের শিক্ষা ও জগতের দীক্ষা তৃণজ্ঞান করিয়া অলক্ষিত ভাবে অবনতির গভীর পঙ্কে নিমজ্জিত হইল। আজ আমরা “হিন্দু" বলিলে কেবল মুষ্টিমেয় কতকগুলি লোকের প্রাধান্ত বুঝি মাত্র। এই গণ্ডীর ভিতর ফোট তিলক কাটিয়া শাস্ত্রের ভেন্ধী যিনি যত খাটাইবেন, তিনিই তত হিন্দু। সাধারণের নিকট জ্ঞানদ্বার রুদ্ধ । সে চাবি সেই গণ্ডীস্থিত গুটিকতক হিন্দুর হাতে। স্বামী বিবেকানন্দ যথার্থ ই বলিয়াছেন – “যে ধর্ম্ম গরীবের দুঃখ দেখে না, মানুষকে দেবতা করে না, তা কি আবার ধর্ম্ম ? আমাদের কি আর ধর্ম্ম ? আমাদের ছুৎমার্গ খালি “আমায় ছয়ে না, আমায় ছুয়ো না । হে হরি ! যে দেশের বড় বড় মাথা গুলো আজ দু হাজার বৎসর খালি বিচার কচ্ছে, ভান হাতে খাব, কি বাম হাতে খাব, ডান থেকে জল-নেব, কি বাম দিক থেকে, কট্‌ এটু ক্রাং ক্রুং বিহি ইত্যাদি যে দেশের মূলমন্ত্র, তাহাদের অধোগতি হবে না ত আর কাদের হবে ?” সমাজ যখন এইপ্রকার হীনাবস্থায় পতিত হয়, তখন পিপীলিকাশ্রেণীর ন্যায় অনন্ত অকল্যাণকর রীতিনীতি আসিয়া সমাজের হৃদয় ক্ষত বিক্ষত করিতে থাকে। ব্রাহ্মণ্য আধিপত্যে জর্জরিত বাঙ্গালায় শীঘ্রই তাহার উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষক “বল্লালী কৌলিন্ত” আসিয়া জুটিল। শাস্ত্রের

  • কিন্তু প্রাচীনকালের হিন্দুর এ বিষয়ে যথেষ্ট উদারচিত্ত ছিলেন। উহার ম্লেচ্ছ যবনাচার্ল্যজিৎগর পদতলে বসিয়া শাস্ত্রশিক্ষা করিতে লজ্জাবোধ করিতেন না । বরাহমিহির বলিয়াছেন ঃ

"ম্লেচ্ছাহি যবনাস্তেষু শাস্ত্রমিদম স্থিত ঋষিৰত্তেহপি পূজ্যভে”