পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্নসমস্ত্য 8(t ০৮:২৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:২৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:২৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (ইউটিসি)~ ০৮:২৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (ইউটিসি)NasirkhanBot (আলাপ) ০৮:২৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (ইউটিসি) সওদাগরগণ তাদের কার্য্যসিদ্ধি করতে পারতেন না। এই জন্তই রামদুলাল দে, মতিলাল শীল প্রভৃতি ক্রোড়পতি হয়েছিলেন । কিন্তু அன்ன ব্যবসার, ক্ষেত্র থেকে বাঙ্গালী হটেছে, বিতাড়িত হয়েছে । বর্ত্তমানে কলকাতার জনসংখ্যা যত তার একতৃতীয়াংশ বাঙালী, অথচ কলকাতা বাংলার প্রধান সহর। এই সহরে যেসব অ-বাঙালী স্থানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার কারবার হয় সেখানে বাঙালীকে কচিৎ দেখতে পাওয়াম। অত্যাশ্চর্য ব্যাপার! ভাবলে অবাক হয়ে যেতে হয় ! এদেশে ইংরেজী শিক্ষার একমাত্র উদেশ্ব ছিল--সহঁজে চাকুরী জুটুবে। পলাশীর যুদ্ধের পর থেকে বাঙালী যে পরিমাণে ইংরেজী শিক্ষায় অগ্রসর হতে লাগল চাকরীর মোহ তার সেই পরিমাণে বেড়ে গেল তারপর যখন ডেপুটি-কালেক্টরী মুন্সেী প্রভৃতি পদের স্বষ্টি হল এবং গবর্ণমেণ্ট আফিয়ে অল্পাধিক বেতনের কেরানীগিরির দ্বার উন্মুক্ত হল তখন দশ পনের বৎসর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার এক চরম উদেশ্ব হয়ে দাড়াল শীঘ্র শীঘ্র পাশ করে এইরূপ একটা পদ লাভ করা । ক্রমে ইংরেজীনবীশ বঙ্গযুবকের কেরানী, উকীল, মাষ্টার ডাক্তার হয়ে উত্তর ভারতবর্ষের সর্ব্বত্র ছড়িয়ে পড়ল, মনে ভাবলে এই নূতন শিক্ষা দীক্ষা ও *সাহেবিয়ানার চক্চকানি নিয়ে তারা না জানি কোন দিগ্বিজয়ে বাহির হয়েছে । কিন্তু কেউ তখন বুঝলে না যে বিপদের মেঘ ঘনীভূত হয়ে উঠছে। এদিকে অবসর বুঝে তখন উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ বিশেষত: মাড়বার থেকে একদল লোক "লোটাকম্বল” মাত্র সম্বল করে কলকাতায় এসে আপন পুরুষকারের বলে, অক্লান্ত চেষ্ট ও অধ্যবসায়ের সহায়তায় রাংলার ব্যবসা-বাণিজ্য হস্তগত করে নিলে। বাঙালীর মুখে তখন ইংরেজি বুলি আর তন্তরে মাড়োয়ারির প্রতি ঘৃণা,—তারা অসভ্য ছাতুথোর । কিন্তু ইংরেজিশিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী বা ছাপ এ