পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

या थ °ों ब्र ७ डी ब्र झ व् ए थे সকলকে জড়ো করে কেদার সবে বলতে আরম্ভ করেছিল, কৈলাস, একপাশে দাড়িয়ে মন দিয়ে তার কথা শুনতে লাগিল । কৈলাসের’ উপর রাগ ছিল, সেইজন্য বোধ হয় তাকে দেখে কেদারের উৎসাহ গোল বেড়ে, অন্যদিনের চেয়ে অনেক বেশী আবেগের সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে রোগ আর দারিদ্র্যের পীড়নে সকলের কী শোচনীয় অবস্থা হয়েছে সকলকে তাই ভাল করে বুঝিয়ে দিল। এ অবস্থার প্রতিকারের জন্য সকলের যে প্রাণপণ চেষ্টা করা উচিত, এই কথাটা বুঝিয়ে দিতেও তার সময় লাগল। অনেকটা । কেদারের বক্তব্য শেষ হওয়া মাত্র কৈলাস সায় দিয়ে বলল, “ঠিক কথা, ঠিক বলেছেন।” তারপর মুখে একটা জোরালো আপশোষের আওয়াজ করে বলল, “তবে কি জানেন, বেচারীরা করবে। কি, করবার যে কিছু নেই ।” কেদার রাগ করে বলল, “করবার কিছু নেই মানে ?” “কি আছে বলুন ?” “ওই যে বললাম, সকলে মিলে চেষ্টা করতে হবে ?” বেশ বুঝা যাচ্ছিল কেদারের বক্তৃতায় কৈলাসের মন রীতিমত নাড়া খেয়েছে, এ কথায় সেও যেন রেগে গেল, “আপনি তো বলে খালাস চেষ্টা করতে হবে বলে। কী চেষ্টা, কিসের চেষ্টা তা বলুন ?” তারপর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বলল, “যাক যাক আমার ওসব কথায় কাজ কি ! আপনার ছেলের জ্বর কমেছে কেদারবাবু?—আমার সেই টাকাটা নকুড় ?” নকুড় কাছে এগিয়ে এল, নীচু গলায় বলল, “আজ তো লরাব কর্তা।” ) of