পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আছে, এই বলিয়া গা-টেপা-টিপি করিতাম, আর একটু চাপা রকম খিলখিলাও করিতাম, আর ৩৭ দিন আছে, আর গা-টেপা-টিপি ও খিল খিল করিতাম। এই রূপে যখন ৪ঠা আশ্বিন আসিত তখন আবার সুর্য্যোদয়ের ঘণ্টা দুই পুর্বে উঠিয়া তেমনি একত্র হইয়া ‘কাল হে কাল” মহোল্লাসে এই কথা বলিতাম, আর শব্দ না হয় এমনি করিয়া নাচিতাম, কারণ কীর্ত্তারা তখনও নিদ্রিত। এই সব কথা মনে উঠিলে ঠিক সেই সময়ে গিয়া পড়িতাম, দ্বারকানাথ, প্রিয়নাথ, অঘোরনাথ ও উমেশচন্দ্র, যাহারা চলিয়া গিয়াছেন, তাহারা যেন আবার সশরীরে ফিরিয়া আসিতেন, আৰু সকলে জড়াজড়ি করিয়া “কাল হে কাল” বলিয়া আবার সেইরূপ উল্লাস উপভোগ করিতাম। এইরূপ পূর্ব্বকথা মনে উঠিলে, পূর্বের সেই আনন্দ ও উল্লাসও যেন শরীর প্রাপ্ত হইয়া মনের ভিতর আসিত, বৃদ্ধ বয়সে আবার ঠিক সেইরূপ বালক হইয়া বাল্যকালের সেই নির্ম্মল শরীরী আনন্দ ও উল্লাস প্রত্যক্ষ করিয়া অসীম আনন্দ ও BBBB BDD BBBBSS BDBBDD SDDD S uDBDB BDDDB BBD DBBSDSS S DBDBBD SDBSDY করিতে কবিতে যাইতাম, Oriental Miscellany নামক এক খানি ইংরাজী মাসিক পত্রে একবার লিখিয়াছিলাম। সেই লেখাটুকু প্রথম ক্রোড়পত্রে তুলিয়া দিলাম । পূজাব সময় বাড়ী যাইবার যে এত আনন্দ, তাহা কার্ত্তিকের জন্য ভাল পাগড়ি কি নিয়া লইয়া যাইতাম বলিয়া কত যে বাড়িয়া যাইত, তাহা আর কি বলিব ! ইস্কুলে জল খাইবার জন্য যে পয়সা পাই তাম, তাহাঁই বঁাচাইয়া বঁাচাইয়া কার্ত্তিকের জন্য ভাল পাগড়ি এবং আটচালায় জ্বালাইবার জন্য একটী লণ্ঠন কিনিয়া লইয়া যাইতাম । কর্ত্তাদের প্রতিমার সাজসজ্জার দিকে বেশী দৃষ্টি ছিল না, তাহদের বেশী দৃষ্টি ছিল কাঙ্গালী বিদায়েন্ত্র দিকে, এবং লোকজনের ভোজনের দিকে । আমরা তখন বালক, প্রতিমার সাজসজ্জা ভাল হয়, আমাদের "তখন বড় ইচ্ছা তাই আমরা আপন হাতে প্রতিমা সাজাইতাম, এবং কার্ত্তিকের জন্য ভাল পাগড়ি কিনিয়া লইয়া যাইতাম । আর কর্ত্তাদের বাহারের দিকে দৃষ্টি ছিল না। বলিয়া আমাদের তত বড় আটচালায় চারটির বেশী বড় লণ্ঠন জলিত না । সেটা আমাদের ভাল লাগিত না । তাই আমরা প্রতি বৎসর একটা করিয়া ছোট লণ্ঠন কিনিয়া লইয়া যাইতাম। আর সেই লণ্ঠনটি যখন জ্বলিত, তখন ভাবিতাম। আমাদের খুদে লণ্ঠনটি সরকারী বড় বড় লণ্ঠনগুলির চেয়েও বড়। এই সব করিয়াও যে ক্ষোভীটুকু থাকিত, তাহা মিটাইবার জন্য সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী, চারিদিন খুব ভোৱে উঠিয়া স্নান করিয়া আটচালায় সমস্ত নৈবেদ্য প্রস্তুত করিয়া দিতাম। এইরূপে আমরা volunter-এর কাজ করিতাম ।