পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AG8 শিৰনাথ শারীর আত্মচারিত কৈলাসচন্দ্র চক্রবর্ত্তী মহাশয় তখন স্কুলের হেডপণ্ডিত ছিলেন ; তিনি এই আন্দোলনের প্রধান নেতা হইলেন। শিক্ষকদিগের মধ্যে কেক কেহ স্কুল ভাজিয়া আর-এক স্কুল করিবেন বলিয়া ভয় প্রদৰ্শন করিতে লাগিলেন। আমি কিছুদিন চুপ করিয়া থাকিলাম, তাহাদিগকে গোপনে বুঝাইলাম ; আমার উদ্দেশ্য স্কুলটির উন্নতি করা, ইহা ভাল BDDD BBB DBD S SDD DBBD SDDDB DBBBDB BLS অবশেষে একদিন চুটীর পরে সমুদয় শিক্ষককে একত্র করিয়া ঘড়ি খুলিয়া তাহদের সম্মুখে বসিলাম। বলিলাম যিনি যিনি স্কুল ছাড়িয়া যাইতে চান, ও স্কুলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করিতেছেন, তঁহাকে দশ মিনিট সময় দিতেছি, ইহার মধ্যে স্থির করিয়া বলিতে হইবে তিনি থাকিবেন কি যাইবেন। যদি থাকেন, স্কুলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করিবেন। না, এই প্রতিজ্ঞা করিয়া থাকিতে হইবে। সকলেই নিরুত্তর রহিলেন, দশ মিনিটের পর সকল আন্দোলন থামিয়া গেল। কিন্তু অনেকে মনে মনে আমার প্রতি বিরক্ত রহিলেন। কি করিব, কর্ত্তব্য বোধে লোকের অপ্রিয় হইতে হইল। আর-একটা আন্দোলন ইহা অপেক্ষাও গুরুতর হইয়া দাড়াইল । আমি স্কুলের ভার লইয়া দেখি, স্কুলের কয়েকটা শিক্ষক গ্রামস্থ সখের যাত্রার দলে সংসাজেন। একজন “ভীগি দিদী” সাজেন, আর একজন আর একটা কি সাজেন। ঐ সখের যাত্রার দলটি কতকগুলি নিষ্কন্ম ধনিসন্তানের কার্য্য ছিল। তাহদের মধ্যে অনেকে সুরাসক্ত এবং অপরাপর দুক্রিয়াতে লিপ্ত ছিলেন। স্কুলের শিক্ষক দুইটী সেই দলে থাকাতে বালকগণ র্তাহাদিগকে অবজ্ঞার চক্ষে দেখিত। স্কুলের বোর্ডে লিখিয়া রাখিত,-“ভীগি দিদি । চাটা না” ইত্যাদি। ইহা আমার পক্ষে অসহনীয় বোধ হইতে লাগিল। আমি এক সাকুলার জারি করিলাম