পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই গোলমালের মধ্যে আমাদের দলে যিনি যিনি লেখনী ধারণ করিতে জানিতেন, তাঁহারা সকলেই কেশববাবর বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করিতে লাগিলেন। আমি “এই কি ব্রাহবিবাহ ?” নাম দিয়া এক পাস্তিকা লিখিলাম। পর্বোত্ত ঘননিবিন্স্ট মন্ডলীর সভ্য বজ্রযোগিনী নিবাসী আনন্দচন্দ্র মিত্র সকবি বলিয়া সাহিত্য জগতে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছেন, তিনি এই সময়ে কুচবিহার বিবাহের প্রতিবাদ করিয়া একখানি ক্ষদ্র নাটিকা রচনা করিলেন। এ সংবাদ আমরা জানিতাম না। তাহা যে আমার বন্ধ কেদারনাথ রায়ের প্রেসে ছাপা হইতেছে, তাহাও জানিতাম না। যখন বাহির হইল, তখন একখানা আমার হাতে পড়িল। আমি দেখিলাম, তাহাতে অতি লঘ ভাবে কেশববাবকে ও তাঁহার দলকে আক্রমণ করা হইয়াছে। বিশেষ অপরাধের কথা এই, আচার্য-পত্নীকে তাহার মধ্যে আনিয়া তাঁহার প্রতিও লাঘ ভাবে শেলষ বাক্য প্রয়োগ করা হইয়াছে। আমি আচাষ-পত্নীকে মনে মনে অতিশয় শ্রদ্ধা করিতাম। আমি দেখিয়া জবলিয়া গেলাম। তৎক্ষণাৎ আনন্দ মিত্রকে ডাকাইয়া, কেদারকে অনরোধ করিয়া, ঐ পাস্তিকা প্রচার বন্ধ করিয়া দিলাম। দিয়া মিরার আপিসে গিয়া কেশববাবর দলপথ প্রচারক বন্ধদিগকে বলিয়া আসিলাম, যদি ঐ পাস্তিকা তাঁহাদের হাতে পড়ে, কিছল যেন মনে না করেন। আমরা অগ্রে জানিতাম না, পরে জানিয়া উহার প্রচার বন্ধ করিয়া দিয়াছি। হয়, হায়, দলাদলিতে মানষেকে কি অন্ধ করে! ইহার পরও তাঁহারা বিরোধী দলের প্রতি এই বলিয়া দোষারোপ করিলেন যে, তাহারা নাটক লিখিয়া আচাযপত্নীর প্রতি লাঘ ভাষা প্রয়োগ করিয়াছে। আবার এই কথা। এরপভাবে লিখিলেন, যেন আমিই ঐ নাটক লিখিয়াছি। তখন আমি লতাজাতে মরিয়া গেলাম। এরপ দলাদলির মাথায় ধম টেকে না। আমরা সেই যে ধাম হারাইয়াছি, তাহার সাজা এতদিন ভোগ করিতেছি, আর কতদিন ভোগ করিব, ভগবান জানেন। ব্রাহামসমাজ এতৎস্বারা লোক সমাজে যে হীন হইয়াছে, তাহা আজিও সামলাইয়া উঠিতে পারিতেছে না। ব্রাহাসমাজের অধঃপতন আমাদের পাপের শাসিত। SCO