পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৬২-৬৭ ] ঠাকুর পূজা করিতে অসম্মতি ও তাহার ফল SY সরস ও আশান্বিত ভক্তি এ বিষয়ে অনেক পরিমাণে সাহায্য করিয়া থাকিবে। যাহা হউক, ব্যাকুল প্রার্থনা বিফলে যায় না। তাহা আমি প্রত্যক্ষ দেখিতে লাগিলাম। ভগবানের প্রেরণা প্রাণে পাইয়া মন আনন্দে মগ্ন হইতে লাগিল। তদবধি প্রার্থনাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মিয়াছে। তৎপরে আমি অনেক প্রলোভনে পড়িয়াছি, সময়ে সময়ে পতিত হইয়াছি, অনেক অন্ধকার দেখিয়াছি, কিন্তু প্রার্থনাতে বিশ্বাস আমাকে পরিত্যাগ করে নাই। সকল সংগ্রামের মধ্যে দুর্বলতাতে বল, নিরাশাতে আশা, নিরানন্দে আনন্দ লাভ করিয়াছি। আমি দিব্য চক্ষে দেখিতেছি, সেই মঙ্গলময় পুরুষ র্তাহার দুর্বল সন্তানকে হাতে ধরিয়া লইয়া যাইতেছেন। যে ছেলেটা চলিতে পারে না, বার বার পড়িয়া যায়, তার ধরার অপেক্ষা না রাখিয়া যেমন পিতা বা মাতাকে নিজেই সে ছেলের হাত শক্ত করিয়া ধরিতে হয়, তেমনি যেন মনে হয়, সেই মঙ্গলময় পুরুষ দেখিয়াছেন যে, এ পাপী ও দুর্ব্বল মানুষটা নিজে ধরিয়া চলিতে পারে না, যখনি তঁহাকে ভুলিতেছে, তখনি পতিত হইতেছে ; তাই তিনি বার বার ধূলা ঝাড়িয়া চক্ষের জল মুছাইয়া তুলিয়া ধরিতেছেন। গ্রামে আসিয়া ঠাকুর পূজা করিতে অসন্মতি ও তাহার ফল ।-বল ও আশা পাইয়া আমি নিজ বিশ্বাস অনুসারে চলিবার জন্য প্রতিজ্ঞারাঢ় হইলাম। এই বার আমার কঠিন সংগ্রাম আসিল । ইহার পূর্ব্বে গ্রীষ্মের ছুটিতে বা পূজার বন্ধে বাড়ীতে গেলেই আমাকে ঠাকুর পূজা করিতে হইত। আমাদের কুলক্রমাগত কতকগুলি ঠাকুর ছিল।* বাবা সচরাচর তাহদের পূজা করিতেন। আমি বাড়ীতে গেলে তিনি সেই কার্য্যভার আমার উপর দিয়া অপরাপর গৃহকার্য্য করিবার জন্য অবসর লাইতেন। যে বারে আমার হৃদয় পরিবর্তন হইয়া আমি বাড়ীতে গেলাম, hr

  • ৪ ৫ পৃষ্ঠা দেখ ।