পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'ote শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৭শ পরিঃ পড়িয়াই পার্ব্বতী বাবুর সামুদ্রিক বমন ( sea-sickness ) আরম্ভ হইল, তিনি নিজ ক্যাবিনে পড়িয়া রহিলেন। দুর্গামোহন বাবু একটু ভাল ছিলেন ; কিন্তু দেশ হইতেই তিনি কাহিল হইয়া বাহির হইয়াছিলেন। আমি এক প্রকার পালাজ্বর লইয়া যাত্রা করিয়াছিলাম, পূর্ণিমা ও অমাবস্তাতে আমার জর হইত ; আমি জ্বরে ক্যাবিনে এক পড়িয়া থাকিতাম। পড়িয়া পড়িয়া সে সময়কার ভাবে এই গানটি বাধিয়াছিলাম ; তাহা পরে কলিকাতায় প্রেরণ করি, এবং তাহা বোধ হয় তত্ত্বকৌমুদীতে প্রকাশিত হয় ; পরে ব্রহ্মসঙ্গীত গ্রন্থে উঠিয়াছে। আমি এক মুখে মায়ের গুণ বলি কেমনে ? আর কোন মা আছে এমন ক’রে পালিতে জানে ? কি স্বদেশে কি বিদেশে, মা আমার সর্বদা পাশে, প্রাণে ব’সে কহেন কথা মধুর বচনে। আমি ত ঘোর অবিশ্বাসী, (মাকে) ভুলে থাকি দিবানিশি, মা আমার সকল বোঝা বহেন যতনে। এ অনন্ত সিন্ধু জলে, মা আমায় রেখেছেন কোলে, কত শান্তি কত আশা দিতেছেন প্রাণে । হায় আমি কি করিলাম, এমন মায়ে না চিনিলাম, না সাপিলাম প্রাণ মন এমন চরণে ! জাহাজে থাকিতে থাকিতে দুইটি ঘটনা দ্বারা আমি ইংরাজ চরিত্র ও ফরাসী চরিত্র উভয়ের মধ্যে এক বিষয়ে প্রভেদ লক্ষ্য করিতে পারিলাম। প্রথম ঘটনাটি এই। আমাদের সঙ্গে এক জন ইংরাজ যাইতেছিলেন। তিনি ছয় মাস পূর্বে এদেশে বেড়াইতে আসিয়াছিলেন, বেড়াইয়া ফিরিয়া যাইতেছেন। তিনি এক দিন আহারে বসিয়া অপরাপর ইংরাজের নিকট এদেশীয়দিগকে খুব গালাগালি দিতে লাগিলেন। ভারতবাসী ইংরাজদের মুখে যাহা শুনিয়াছিলেন ও নিজে যাহা দেখ্রিয়াছিলেন, তাহ বলিয়া