পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 R শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত . [২২শ পবিঃ স্বজাতীয় একটি বালকের সঙ্গে এক দিন নামমাত্র বিবাহ হয়, একটা খাওয়াদাওয়া হয় ; কিন্তু তাহা বিবাহ বলিলে যাহা মনে হয় তাহা নহে, বিবাহের পর দিন হইতে তাহার সহিত সকল সম্বন্ধ রহিত হয়। তৎপর কন্যা মাতৃভবনেই থাকে। বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে আত্মীয় স্বজন এক জন ব্রাহ্মণ যুবককে আনিয়া তাহার সহিত পরিচিত করিয়া দেন, এবং সেই ব্যক্তিই প্রকৃত পতি হইয়া দাঁড়ায়। রমণী মনে করিলে তাহাকে পরিবর্তন করিতে পারে। কিন্তু সে ব্যক্তি কার্য্যতঃ পতি হইলেও সন্তানদিগের সম্বন্ধে তাহার কোনও দায়িত্ব থাকে না। সে দায়িত্ব তাহাদের মাতৃলের উপর থাকে, তাহারা মাতুলেরই ধনের অধিকারী হয়। এক দিকে যেমন এই নিয়ম, অপর দিকে নাম্বুরী ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে আর এক অদ্ভুত নিয়ম প্রচলিত আছে। তাহদের মধ্যে প্রথম পুত্র বংশ রক্ষার জন্য বিবাহ করে, অপর পুত্রের বিবাহ না করিয়া নায়ার ও শূদ্র জাতীয় স্ত্রীদিগের সহিত এবং আবশ্যক হইলে একাধিক শূদ্র রমণীর সহিত সংগত হইবার জন্য থাকে। ইহার ফল। এই হইয়াছে যে, অনেক ব্রাহ্মণ কন্যাকে পতি অভাবে চিরকৌমার্য্য ধারণ করিতে হয়। নায়র নারীদিগের সহিত নাম্বুরী ব্রাহ্মণদিগের মিলিত হওয়া সেদেশে এরূপ স্বাভাবিক প্রথা হইয়া দাড়াইয়াছে যে, এক দিন এক জন নােয়র ভদ্রলোক আমার সহিত কথা কহিতে কহিতে নিজের দেহের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া কহিলেন, “আমার এই দেহে ব্রাহ্মণের রক্ত আছে!” কোকানদায় দ্বিতীয় বার ও গুরুতর পীড়া -কালিকট হইতে পুনরায় কোইম্বাচুর গমন করি, ও তৎপর ত্রিচিনপল্পী ও বাঙ্গালোর হইয়া ৩০শে অক্টোবর মান্দ্রাজে ফিরিয়া আসি। তথায় কিছু কাল থাকিয়া বেজওয়াদ। মসুলিপটম, ও রাজমহেন্দ্রী হইয়া ১৮ই নভেম্বর কোকানদাতে যাই । এই আমার কোকানদায় দ্বিতীয় বার গমন। সেখানে গিয়া ২০শে নভেম্বর গুরুতর পীড়াতে আক্রান্ত হই। পরে শুনিয়াছি, তাহা টাইফয়েড