পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ২৩শ পরিঃ করিয়া আসিতেছিলাম ; তাহাতে কিছুই জমিতেছিল না। পরে ১৮৯৪ সালে ডাক্তার প্রসন্নকুমার রায় উপাসক মণ্ডলীর সম্পাদক হন। তিনি अश्रख्य করিতে লাগিলেন। (R, খ্রীষ্টীয় সমাজের VARS” pastoral systenu প্রবর্ত্তিত করিতে না পারিলে প্রকৃত আধ্যাত্মিক উন্নতি হইবে না। আমার নিকট এই প্রস্তাব উপস্থিত করাতে আমি হৃদয়ের সহিত সে কার্য্যে সহায় হইলাম এবং উপাসক মণ্ডলীর প্রথম দায়ী স্থায়ী আচার্য্যের ভার গ্রহণ করিলাম। আচার্য্যের ও উপাসকগণের ব্যবহারার্থ ব্রাহ্মসমাজ লাইব্রেরি নামে একটি লাইব্রেরি স্থাপিত হইল। আমি আমার আপীস তাহাতে স্থাপন করিয়া আচার্য্যের কার্য্য করিতে লাগিলাম। প্রতি সপ্তাহে লিখিয়া উপদেশ দিতাম, এবং সেই উপদেশ। পরে ক্ষুদ্র পুস্তিকার আকারে মুদ্রিত হইত। সেই উপদেশগুলি পুস্তকাকারে সংগৃহীত হইয়া ‘ধর্ম্মজীবন’ নামে মুদ্রিত হইয়াছে। এই গ্রন্থখানিকে আমার আধ্যাত্মিক চিন্তা ও ধর্ম্মজীবনের পরিণত ফল বলিলে হয়। কিছু দিন পরে শারীরিক অস্বাস্থ্যের জন্য আমাকে দায়ী আচার্য্যের কাজ ত্যাগ করিয়া নানা স্থানে যাইতে হয়। উপাসক মণ্ডলীর কাজ আবার পূর্ববৎ দাড়াইয়াছে। সেটা একটা দুঃখের বিষয়। ইহার পরে এই সময়ের মধ্যে আর নূতন কাজে হাত দিই নাই। কয়েক বৎসর ধরিয়া সাধনাশ্রমের কাজ ও উপাসক মণ্ডলীর আচার্য্যের কাজ, এই দুই কাজই প্রধান কাজ থাকিয়াছে। ১৮৯৮ সালে শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য চন্দননগরে গঙ্গাতীরবত্তী একটি বাড়ীতে গিয়া থাকি। সেখান হইতে রবিবার কলিকাতায় আসিয়া মন্দিরে আচার্য্যের কার্য্য করিতাম, এবং সমাজের অন্যান্য কাজে সাহায্য করিতাম। ১৮৯৯ সালের শেষে কলিকাতায় ফিরিয়া আসি । গ্রন্থ রচনা -এই কালের অপর উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে আর একটি এই। এই সময়ের মধ্যে আমার মন্দিরের উপদেশ ‘ধর্ম্মজীবন