পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yws-tu কুকুব “শেয়াল-খাকী” 8) প্রাণ যাইত। বিড়ালেব মধ্যে রূপীব কথা স্মৰণ আছে। রূপী একটি মেনি বিড়াল ছিল। এমন সুন্দব বিড়াল কম দেখা যায়। শাদাব উপরে পেটেব দুই পাশে ও মাথায় কাল দাগ। লোমগুলি পুরু পুরু, চক্ষুদুটি হবিদ্রাবণ, ও লেজটি মোটা। এখন মনে করি রূপী বোধ হয় দোআঁশলা বিড়াল ছিল। কে যে তাহাকে দিয়াছিল মনে নাই। উন্মাদিনী ও আমি তাহাকে পুষিয়াছিলাম। তিনি এমনি আব্দুবে হহয়ছিলেন যে, উনান কাধায় শোয়া তাৰ পক্ষে সম্রামেব হান বোধ হাঁহত, বিছানাব উপব না হইলে তিনি শুঙ্গাতেন না। উন্মুদিনী ও আমি যখন সন্ধ্যাব সময় আসিয়া শয়ন কবিতাম, তখন রূপী বাবা ও ম্যাব পাতেব মাছেব কাটাব লোভও ত্যাগ কােবয়া আমাদেব দুজনের্ব মধ্যে আসিয়া শুহঁত। অনেক সময় তিনজনে গলা-জড়ােজড়ি কবিয়া ঘুমাই ৩াম। মা শয়ন করিতে আসিয়া, তাহাকে মশাবিৰ বাহিবে ফেলিয়া দিতেন। ভোরে যদি কোন দিন ঘুম ভাঙ্গিত, দেখতাম রূপী গবাব-দুঃখীৰ মত মশাবিৰ বাহিবে পাড়িয়া আছে। তখন বড় দুঃখ হইত ; তাহাকে আবার মশাবির মধ্যে আনিতাম। তাহা লইয়া মাতাপুত্রে বিবান হইত। কুকুর “শেয়াল-খাকা” -আমাদেব তখনকাব আব-একজন খেলার সঙ্গীৰ কথা স্মবাণ আছে। সে শেয়ালখাকী। শেয়ালখাকী একটা মাদী কুকুবা। তাহাব ইতিবৃত্ত এই। আমার বাবা একদিন দেখিলেন একটি কুকুবের বাচ্ছাকে শেয়ালে লইয়া যাইতেছে। দেখিয়া তাব দয়ার আবির্ভাব হইল । তিনি হৈ হৈ কবাতে ও ঢিল ঢেলা মারাতে শেয়ালটা বাচ্ছাটাকে ফেলিয়া পলায়ন করিল। বাবা বাচ্ছাটা কুড়াইয়া আনিলেন, সে তখন অতি শিশু । তাহার পৃষ্ঠের শেয়ালের কামড়ের ঘা শুকাইতে অনেকদিন গেল। সে বড় হইল, বাবা তাহান নাম শেয়ালখাকী রাখিলেন । শেয়ালখাকী আমাদের” বাড়ীতেই রহিয়া গেল, এবং পাড়ার বালক-বালিকার খেলিবার একটা মন্ত সঙ্গী হইয়া দাড়াইল। এখন আমার ভাবিয়া আশ্চর্য্য বোধ হয়,