পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 8ኳም আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তৰ্পণ হিমালয়ের বনজঙ্গলের মধ্যে অনেক অসাধু সন্ন্যাসীও দেখেছি, আবার অনেক সাধু সন্ন্যাসীরও দর্শনালাভ হয়েছে। তাদের কারো কারো বিশেষ ক্ষমতাও দেখেছি। এমনও দেখেছি, কোন সন্ন্যাসী কোন একটা গাছের পাতা দিয়ে মুমূর্ষু রোগীব জীবন ফিরিয়ে এনেছেন। তঁর কাছে সে পাতার সন্ধানও নিয়েছি। সে দিন স্বামী বিবেকানন্দকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখে এবং তঁর চিকিৎসার কোন সুবিধাই নাই দেখে আমার সে গাছের কথা মনে হ’য়েছিল। আমি তখন তাড়াতাড়ি কুটীর থেকে বেরিয়ে এসে সেই প্রায়ন্ধিকারে গঙ্গার বালুকাময় চড়ায় সেই গাছের অনুসন্ধান করে সৌভাগ্যক্রমে অনতিদূরেই সেই গাছ পাই। তারি ২।৩টি পাতা এনে হাতে রগড়ে রস বের করে স্বামীজীর মুখে দিলাম। দেখিই না কেনসন্ন্যাসীর এ গাছ ফলপ্রদ হয় কি না । তারপর ঔষধের ফলাফল দেখবার জন্য কুটীরের বাইরে বালুকার আসনে বসে রইলাম। প্রায় আধা ঘণ্টা পরে স্বামীজী চৈতন্য লাভ করলেন। তঁর সঙ্গীরা তখন কুটীরের ভিতরে ছিলেন। স্বামীজী ধীরে ধীবে বললেন-তোরা ভয় পাচ্ছিাস কেন । আমি মরব না-আমার অনেক কাজ আছে। আমি দুয়াবেবি কাছ থেকে এই কথা শুনে, ভগবানের উদ্দেশ্যে প্রণাম কবে আমার সদাব্রতে এসে উপস্থিত হলাম । স্বামী বিবেকানন্দের দর্শনলাভের, বোধ হয়, ১০ ॥১৫ দিন পরে সংবাদ পেলাম, সানুচর বিবেকানন্দ স্বামী ডেরাডুনে এসে সেখানকার কালীবাড়ীতে আতিথ্য গ্রহণ করেছেন। সেই কথা শুনে আমি, খ্রীযুক্ত বিমলাচরণ এবং তঁর খুল্লতাত সাৰ্বভে অফিসের একজন প্রধান কর্মচারী বন্ধুবর শশিভূষণ সোম-এই তিনজন কালীবাড়ীতে গিয়ে উপস্থিত হলাম। সেই রাত্রিতেই তাদের করণপুরে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম, তঁরা পরদিন প্রাতঃকালে আসতে স্বীকার করলেন। শশিভূষণ সোম মহাশয়ের বাড়ী খুব বড় ও সুন্দর। সেইখানেই তঁদের থাকবার ব্যবস্থা করলাম। শশীবাবুদের সকলেরই অফিস ছিল। কাজেই সন্ন্যাসীদের পরিচর্যার ভাল-বাইরে আমি এবং ভিতরে শশীবাবুর বাড়ীর মেয়েরা গ্রহণ করলেন । স্বামীজী এবং তার সহচরবর্গকে আমরা কয়েকদিন আটকে রাখতে LLBDS DDD BD BDDDBBB BDBBBB DD DBBBBDYSDDD DDD পর্যন্ত অপেক্ষা করতে নেই-সেই জন্যই নাম “অতিধি”। তার পরদিন প্রত্যুষে