পাতা:আদিশূর ও বল্লালসেন.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S२ আদিশূব ও বল্লাল সেন। খিলিজি কর্তৃক অধিকৃত হয়, ঐ সময় লক্ষণিয়া নামে অশীতি বর্ষ বয়ঃক্রম এক নৃপতি বঙ্গদেশের অধিপতি ছিলেন । এই প্রকার নানা মতের কোনটি যথার্থ স্থির করা স্থকঠিন, যে পর্য্যন্ত কোন স্থনিশ্চিত প্রমাণ প্রাপ্ত না হওয়া যাইবে, তদবধি যিনি যে প্রকার সিদ্ধান্ত করুন না কেন, সমস্তই অনুমানে পর্যবসিত হইবে । অতএব আমরা সদাসেনের পরবর্তী নৃপতিগণের বৃত্তান্ত লিখিতে আপাততঃ ক্ষান্ত থাকিলাম । তবে গৌড়দেশ যে সেনবংশীয় শেষ নৃপতির হস্ত হইতে যবনগণ কর্তৃক অধিকৃত হয়, তাহার আর অনুমাত্র সন্দেহ নাই । । আদিশূর এবং বল্লাল কোন সময়ে প্রাচুভূত হইয়াছিলেন, তাহ এ পর্যন্ত নিঃসন্দেহরূপে স্থির হয় নাই। পুরাতত্ত্বানুসন্ধায়িগণ পুস্তকাদির প্রমাণ, বংশাবলী দৃষ্টে সময়ের বিচার, এবং অনুমানের প্রতিনির্ভর করিয়া নানা মত প্রচার করিয়াছেন। কিন্তু এই সকল সিদ্ধান্তের কোন টি গ্রাহ, স্থির করা সহজ নহে। এ সম্বন্ধে মূল প্রমাণ “ক্ষিতীশবংশাবলি চরিত” “সময় প্রকাশে ’ বল্লাল-কৃত দানসাগর গ্রন্থ রচনার সময় নির্দেশ, ব্রাহ্মণদিগের কুলজি গ্রন্থে,পঞ্চ ব্রাহ্মণের আগমনকাল নিরূপণ, আইন আকবরিতে বঙ্গদেশের নৃপতিগণের তালিকায় তাহদিগের রাজত্বকালের বৎসর গণনা, এবং অন্যান্য কতিপয় প্রমাণ । উপরোক্ত গ্রন্থগুলির কোন খানি প্রামাণ্য, পণ্ডিতগণ মধ্যে মত ভেদ দৃষ্ট হয়। একজন যে গ্রন্থ প্রামাণ্য বলিয়া স্বীকার করেন, অন্যে তাহ অপ্রামাণ্য বলিয়া উপেক্ষা করেন, অতএব আমরা আদিশূর এবং বল্লালের সময় নিরূপণে হস্ত