পাতা:আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার আত্মকথা

মহিমায় ও লাবণ্যে মুগ্ধ করে দিত, মানুষের অন্তরেরই বিভূত্তি ও ঐশ্বর্য্যের হচ্ছে ও-গুলি যেন খুব সহজ সুন্দর বহিঃ প্রকাশ। অহঙ্কার বা বৃথা ধন গর্ব্বের আড়ষ্ট ও কুৎসিৎ ভঙ্গী তাতে ছিল না বললেই হয়। নিছক মূদ্রা রাক্ষসের আসুরিক পূজারী তখনও মানুষ পূরো মাত্রায় হয় নি। এটা একেবারে আধুনিক ইঙ্গবঙ্গ ধারা।

 দাদার কাছে টাকাটা পেয়ে আমি মেসের পাওনা চুকিয়ে তবে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলুম, এত দিন পর ম্যানেজারের সামনেই আবার বুক ফুলিয়ে সহজ মানুষের অসঙ্কোচ ভাবে আসা যাওয়া করা সম্ভব হয়ে উঠলো। কিন্তু মেসের ঋণ পরিশোষ করে যৎসামান্য টাকাই হাতে রইল, তা দিয়ে টেনে-টুনে আর এক মাস চালানো যেতে পারে। তার পর? তার পর যে কি হবে তা’ দেখে চলা আমার জীবনে আজ অবধি তো হ’লো না, সংসারীর হিসেব করে চলা বুঝি বিধাতা পুরুষ কুষ্টিতে লেখেনই নি। এক একবার একটা না একটা ঘটনার ধারা বছর কয়েক ধরে জীবন নটমঞ্চ জুড়ে চলেছে, তারপর যখন পালা সাঙ্গ হয়ে এসেছে তখন হঠাৎ পূর্ণচ্ছেদ টেনে দিয়ে কালো যবনিকা নেমে এসেছে। তারপর আবার হাট জমিয়ে দর্শকের মন প্রাণ হরে নিয়ে যে কি খেলা আরম্ভ হবে—কোন্ নতুন পালার মহলা চলবে তা’ আমি আগে থেকে কখন বুঝতে পারি নি।

 ভেবেছিলুম করবো কৃষি কিন্তু হয়ে পড়লুম দোকানদার

১৪৯