পাতা:আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষোল

 মায়ের বাড়ী বিক্রীর টাকা ঋণ পরিশোধের পর গিয়ে দাঁড়াল মাত্র নয়শ’ টাকায়। এত অল্প টাকায় কৃষিক্ষেত্র করা যায় না, জমি কেনবার টাকা চাই, চাষ আবাদের খরচ চাই; জলের ব্যবস্থা, কুটীর রচনা, গোধন সংগ্রহ—এর কোন্‌টা মূলধন বিনা হয়। তারপর অন্ততঃ পূরো একটি বছরের খরচ হাতে রেখে চাষ-বাসের কাজে নামা দরকার। দেওঘরে জগদীশপুরের কাছে যে জমি পাওয়া যাচ্ছিল তার দু’হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দরকার অথচ আমার হাতে এল মাত্র নয়শ’ টাকা। দেওঘর থেকে ৬।৭ মাইল দূরে জগদীশপুর—দুইটি ঢালু পাহাড়ের মাঝে লাল মাটির মেলা, সেইখানে কৃষির স্বপ্ন রচনা ফুরিয়ে গেল টাকার অভাবে। কলকেতায় যে মেসে আমি থাকতুম সেইখানে একটি ছেলে থাকতো। কলেজ স্ট্রীট ও হ্যারিসন রোডের ঠিক মোড়ে উত্তর

১৫২