পাতা:আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার আত্মকথা

হাত ছুটে গিয়ে তবে আকাশে উঠতে পারে; গায়ে তাদের তীব্র আঁস্‌টে গন্ধ, পা দু’টো খুব উঁচু ও মোটা, দেহখানা দু’ তিন মণ ওজনে, মাংস নাকি খুব মুখরোচক। আমার ছোট রাইফেলের গুলি তারা শরীরে নিয়ে অনায়াসে অট্টহাস্য করতে করতে উড়ে চলে যেত।

 মাধব রাওয়ের দেওয়া এই রাইফেল ও ব্রিচ লোডিং বন্দুক দু’টো এনে পুজোর ছুটিতে দেওঘরেও আমি দাড়োয়া নদীর ধারে মাঠে ঘাটে পাখী শিকার করেছি। মুখরোচক পাখী মেরে এনে একটু মাখন, দু’ একটা গোলমরিচ ও কিছু আস্ত গরম মশলা এবং পরিমিত পরিমাণে নুন চিনি দিয়ে Jng-soupএর পাত্রে মুখ এঁটে গরম জলে ফুটিয়ে নিতুম, সেই উপাদেয় মাংস সেজদা’ খেতেন। এই পাখী ও পশু শিকারের বায়ু গিয়ে শেষ হ’লো কিনা শেষটা মানুষ শিকারের আসুরিক কাণ্ডে।

১৭২