পাতা:আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার আত্মকথা

সেই সুন্দরের ঋষি যার চোখে জ্ঞানের ও কবি-প্রতিভার অঞ্জন বিধাতার তুলির টানে জন্মাবধি মাখানো রয়েছে।

 তৃতীয়তঃ, আমি হচ্ছি স্বভাবতঃ রাজসিক পুরুষ, রজঃশক্তির বিপুল উৎস বুকে ও নাভিমূলে নিয়ে আমার জন্ম ও জীবনধারণ, যার বেগ বোমা থেকে আরম্ভ করে এতগুলি অসাধ্য সাধনের দিকে সারাটা জীবন আমাকে ক্রমাগতঃ ঠেলে নিয়ে গিয়েছে। আগেই বলেছি বাল্যকালে আমারই খেলার সাথী মাসতুতো ভাই হুপো বা অবিনাশ যে অসংযমের ফলে albumeneria হয়ে মারা গেল আমি ঠিক ততখানি অসংযমের মুখেও এই ক্ষীণ দেহ যষ্টিখানি অটুট রেখে বেরিয়ে এলুম। তার পরেও সারা বয়সটা জুড়ে নারীর আশায় আশায় কম শক্তিক্ষয় হয় নি, তবু কিন্তু এ শরীর ভাঙলো না। এক একবার মত্ততায় ক্লান্তিতে বহু দিন-রজনী কাটিয়ে যখন উঠেছি তখন বোধ হয়েছে এইবার বুঝি দেহ যায় কিন্তু দু’চার দিনে এমন বল ও স্বাস্থ্য কোন্ অদৃশ্য প্রাণ সমুদ্রের মোহানা থেকে কুল কুল বেগে বয়ে এসে শ্রান্ত দেহ মনকে সজীব করে তুলেছে যে, আমি নিজেই আশ্চর্য্য হয়ে গেছি। এ থেকেই বোঝা যায় আমার রাজসিক ধাতুতে গড়া দেহ-প্রাণের স্বাভাবিক তেজ ও শক্তির পরিমাণ অপরিমেয়।

 খুব বড় করে জ্বালা আগুনের কুণ্ড যেমন কলাগাছটাও নিজের তেজে ভস্ম করে শত অম্লান শিখায় জ্বলতে থাকে তেজস্বী প্রাণবান পুরুষরাও হয় ঠিক সেই রকম। যে রূপমুগ্ধ ভোগলোলুপ দুর্ব্বার প্রাণশক্তি নারী ও সুরার মাঝে কবি

১৮১