এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার বাল্যজীবন।
১২৯
ভবন প্রস্তুত করাইতে ছিলেন। বেগম স্বামীর মৃত দেহ সেইখানে সমাধিস্থ করেন ও সমাধিভবন সম্পূর্ণ করাইয়া দেন। আমরা ইন্দ্রপ্রস্থ দেখিয়া হুমায়ুন টুম্ব দেখিতে যাইলাম। হুমায়ুন টুম্বে যাইয়া তত্রস্থ বাদসার ও তাঁহার পরিবারের সকলের সমাধিভবন দেখিলাম। সেই বাড়ীর কারুকার্য্য দেখিয়া শিল্পকল্পনার ঐশ্বর্য্য উপলব্ধি হয়। আর সমাধি দেখিয়া ঐশ্বর্য্যের নশ্বরত্বও মনে পড়ে। মুসলমানের ধর্ম্মগ্রন্থ কোরানের বচন বাড়ীময় খোদিত রহিয়াছে। সেখানে বাদসার গুরু ফকিরেরও সমাধি। ফকিরের সেই ঘরটিতে চন্দনকাষ্ঠের ছাদ হইতে সূত্র সংযোগে কতগুলি বৃহৎ পক্ষী বিশেষের ডিমের খোলা চারদিকে টাঙ্গান আছে সেরূপ পক্ষীর ডিম সচরাচর দেখা যায় না। খোলাটি আস্ত রাখিয়া তাহা শাঁস বাহির করিয়া ফুল দিয়া সাজাইয়া একজন মোল্লা