পাতা:আমার জীবন.djvu/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 3 ] শ্বশুরবাড়ীতে যাইতে বালিকার সজল চক্ষু দুটি আত্মীয়গণের কথা সন্ধান করিত,—“পক্ষীটা, কি গাছটা, কি বিড়ালট, যা দেখিতাম তাহাতে আমার জ্ঞান হুইভ যে আমার বাপের বাড়ীর দেশ হইতে আসিয়াছে, এই ভাৰিয়া কাদিভাম * এই দুঃখের সময় “আমার শাশুড়ী ঠাকুরাণী আমাকে কোলে লইয়া সান্থনা করিতে লাগিলেন ।” “র্তাহার সেই কোল যেন আমার মায়ের কোলের মত বোধ হইতে লাগিল । তিনি যেরূপ স্নেহের সহিত কথা কহিতে লাগিলেন, তাহাতে আমার বোধ হইতে লাগিল যেন তিনি আমার মা । অথচ তিনি আমার মায়ের আকৃতি নহেন। জামার মা বড় স্বন্দরী ছিলেন । আমার শ্বশুড়ীঠাকুরাণী শুমিবর্ণ এবং আমার মায়ের সহিত অন্য কোন সাদৃপ্ত নাই। তথাপি তিনি কোলে লইলে আমি মা জ্ঞান করিয়া চক্ষু বুজিতাম।” রাসম্বন্দর এই ঘটনার উল্লেখ করিয়া বলিয়াছেন, এ কি অপূর্ব ঘটনা। কোন গাছের বাকল কোন গাছে লাগিল। তাহাদের কাছে সকল দিন থাকিতে থাকিতে আমি তাঁহাঙ্গের পোষা পাখী হইয়া তাঁহাদের শরণাগত হইলাম — রাসমুন্দরী বড় আকুরে মেয়ে ছিলেন, পিতৃগৃহে তাঁহাকে কেহ কাজ করিতে দিতেন না, কিন্তু এক জ্ঞাতি খুড়ী অত্যন্ত পীড়িত ছিলেন, বালিকা লুকাইয়া তাহার বাড়ীতে যাইয়া তাহার সমস্ত কাজ এমন কি রন্ধনাদিও করাইয়া দিত। এই ভাবে তিনি কাজ শিখিয়াছিলেন। একদিন সেই খুড়ীর বাড়ীতে র্তাহার মাথায় তৈল মাখাইয়া দিতেছিল, সেই সময় তাহার পিসীমা আসাতে সে ভয়ে লুকাইয়া রহিল । সে লুকাইয়া রহিয়াছে কেন অনুসন্ধান করিয়া পিসীমা জানিলেন—সে কাজ করিতেছিল—তাহাকে কাজ করিতে দেখিলে যদি তিনি কিছু বলেন, এই ভয়ে লে পলাইয়াছে। পিসীমা এই সংবাদ মায়ের নিকট লইয়া আসিলেন, মাতা আহলা দে তাহাকে কোলে লইয়া বলিলেন,—ম কাজ কোথায় শিথিয়াছ, কাজ করিয়া দেখাও দেখি ।” কিন্তু আমোদে আহলাদে যাহা শিখিয়াছিলেন, বিপুল কর্তব্য সম্পাদনের জন্য অচিরে তাহার প্রয়োজন হইল। বিবাহের পর যৌবনের প্রারম্ভে শ্বশুরবাড়ীর বৃহৎ সংসারের তাঁর রাসম্বন্দরীর উপর পড়িল। “এই সংসারটি বড় কম নহে, দস্তুরমতই আছে—বাটতে বিগ্রহ স্থাপিত আছেন—তাহার সেবাতে অল্প ব্যঞ্জন ভোগ হয়। বাটতে অতিথি পধিক সতত আসিয়া থাকে। এদিকে রান্না বড় কম নহে । আমার দেবর, ভাস্কর কেহ ছিলেন না বটে, কিন্তু চাকর-চাকরাণী २* २७ जन शा,ि बश खाडू शरेड, जाशंशिक गाँक तिा ग्रिड श्रेड ।