পাতা:আমার জীবন.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন সাপ হয়ে কামড়াও, ওঝা হয়ে ঝাড়। হাকিম হয়ে হুকুম দাও, পেয়াদা হয়ে মার। ১২১৬ সালে চৈত্র মাসে আমার জন্ম হইয়াছে, আর এই বই ১২৭৫ সালে যখন প্রথম ছাপা হয় তখন আমার বয়ঃক্রম উনষাইট বংসর ছিল । এই ১৩০৪ সালে আমার বয়স অষ্টাশী বংলর এতকাল পর্যন্ত আমার শরীরের অবস্থা, মনের ভাব, এবং পরণপরিচ্ছদ ইত্যাদি যে কিছু ছিল, তাহা সমুদয় পরিবর্তিত হইয়। এখন তাহার বিপরীত অবস্থা হইল । লোকে বলে, মনুষ্যের অবস্থা সকল কাল সমান ভাবে যায় না। কিন্তু দেখিলাম সে কথাটি বড় মিথ্যা নহে, যথার্থই বটে। খণ্ডিতে না পারে কেহ ললাটের অক্ষর । কিবা ব্রহ্মা কিবা বিষ্ণু কিবা মহেশ্বর। পরমেশ্বরের নির্বন্ধ যেটি সেটি হবেই হবে । যাহা হউক, আমার এত কাল পরে সকল পথ অতিক্রম করিয়াও কুলের অতি নিকটে আসিয়াও পাড়ি জমিল না। “মৃত্যুর অধিক ফল মস্তক মুণ্ডন ।” পরমেশ্বর আমার মস্তক মুণ্ডন করিয়াছেন । ঐ ১২৭৫ সালে ১৯ মাৰী শিৰচতুর্দশীর দিবসে আড়াই প্রহর বেলার সময় কর্তাটির মৃত্যু হয়। আমার শিরে স্বর্ণমুকুট ছিল ; কিন্তু এতকাল পরে সেই মুকুটটি খসিয়া পড়িল। যাহা হউক, আমি তাহাতে দুঃখিত নহি, পরমেশ্বর আমাকে যখন যে অবস্থায় রাখেন, সেই উত্তম । ঐ ১২৭৪ সালে অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিবসে পুরোহিত গুণনিধি চক্রৰতাঁর श्रृङ्क इब्र ! সে যাহা হউক, আমার এতকাল প্রায় একপ্রকার অবস্থাতেই দিবস গত হইয়াছিল। এক্ষণে শেষ দশাতে বৈধব্য দশ ঘটিয়াছে। কিন্তু একটি কথাবলিতেও লজ্জা ৰোধ হয়, শুনতেও দুঃখের বিষয় বটে । শত পুত্রবর্তী যদি পতিহীন হয় । তথাপি তাহাৰে লোকে অভাগিনী কয় ॥