পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৮ আর্য্যদর্শন। বেদান্তভাষ্য প্রভৃতি পাঠ করিলেও ইহাই সিদ্ধান্ত করিতে পারা যায়, যে জৈন ধর্ম্ম দশ কি দ্বাদশ শতাব অপেক্ষা অধিক দিনের পদার্থ হইবে না। উপরিউক্ত যুক্তিপরম্পরার উপর নি, ভঁর করিয়া এরূপ নির্দেশ করিতে পার যায়, যে জৈনধর্ম্ম অধুনাতন কালের দশ বা দ্বাদশ শতাব্দ পূর্ব্বে উদ্ভাবিত হইয়াছিল, আর জৈনদিগের ধর্ম্ম যে ইহা অপেক্ষা | অধিক প্রাচীন নহে, তাহাও নানা কারণে নির্দেশ করিতে পারা যায়। সেকেন্দ্র। নগরীর অধিবাসী ক্লেমেনস স্পষ্টাক্ষরে | লিথিয়াছেন, যে ‘.ষ্টীয় দ্বিতীয় শতাদে | বৌদ্ধধর্ম্মের উপাসকেরা ভারতবর্ষে বাস | করিতেন, কিন্তু তিনি কুত্রাপি জৈনধর্ম্মাবলম্বীদিগের নামোল্লেখ পর্যন্ত করেন নাই। তৎকালরচিত অনেকানেক হিন্দুধর্ম্মঘটত গ্রন্থে বৌদ্ধধর্ম্মের প্রতিবাদ দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু এই সকল গ্রন্থে জৈনদিগের নামগন্ধ পর্য্যন্ত দেখিতে পাওয়া যায় না। | আবার ইহার অধস্তন সময়ে শঙ্করাচার্য্য প্রভৃতির কঠোর প্রতিবাদে উদ্বেজিত হইয়৷ যখন বেন্ধেরা ভারতবর্ষ পরিত্যাগ পূর্ব্বক | সিংহল, পূর্ব্বউপদ্বীপ, চীন প্রভৃতি দেশে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিল, যখন বৌদ্ধধর্ম্মের চিতুমাত্র ভারতের কুত্রাপি | গ্রন্থকারের বৌদ্ধশব্দের অর্থে জৈনধর্ম্মের | উপাসকদিগকেই গ্রহণ করিতেন, কিন্তু | প্রাচীনতর কালের হিন্দু গ্রন্থকারগণ কথ বিদ্যমান ছিলনা, তৎকালে হিন্দুধর্ম্মাবলম্বী । শঙ্গে প্রকৃত বৌদ্ধদিগকেষ্ট বুঝিতে হইবে। ফলে তাহদের সময়ে যদি জৈনধর্ম্মের नानाझ नांझे । হইতে দ্বাদশ শতাব্দ পূর্ব্বেই বিরচিত হই. } য়াড়িল । মেদিনীকোষের রচয়িত হেমচন্দ্র | জৈনদিগের মধ্যে এক জন সুবিখ্যাত গ্রন্থ । কার, ইনি খৃষ্টীয় ণাত্যপ্রচলিত জৈনপুরাণসমূহের সংগ্রহ কার, নবম শতাব্দে উক্ত সংগ্রহ ও অন্যান্য গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন । হইতে পঞ্চদশশতবৎসর পূর্ব্বে রচিত হইয়া ছিল। কিন্তু অন্তৰীণ প্রমাণসমূহের বিষয় প্রচার থাকিত তাল হইলে তাহার | অবশ্যই জৈনদিগের নামোল্লেখ করিতেন ! দ্বাদশ শতব্দের { শেষভাগে প্রহর্ভূত হইয়াছিলেন। দক্ষি: | কথিত আছে । যে, কল্পস্থত্রনামক গ্রন্থ মহাবীরের মৃত্যুর | নয়শত অশীতি বৎসর পরে অর্থাৎ এখন ! শ্রাবণ ১২৮২ ৷ { জৈনদিগের গ্রন্থসমূহ করিলেও উ- | পরিউক্ত সিদ্ধাস্তের সমর্থন হটবে। অধুনা | তন কাল হইতে গণনা কৰিয়া দ্বাদশ শতা- | ব্দের অপেক্ষা উৰ্দ্ধতন একখানিও জৈনগ্রন্থ } দৃষ্টিগোচর হয় না, পক্ষান্তরে জৈনধর্ম্মের | যাবতীয় উৎকৃষ্ট ও সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ এখন | | . | | | r পর্যালোচনা করিলে সহজেই প্রতীয়মান | হইবে, যে এরূপ হওয়া নিতান্ত অসম্ভব, ফলতঃ অধুনাতন প্রত্নগবেষণার উপর নির্ভর করিয়া ইহা সিদ্ধান্ত করা যাইতে | পারে যে, কম্পন্থত্র ধৃষ্টীয় প্রয়োদশ শতাব । অপেক্ষ অধিকতর প্রাচীন পদার্থ হইতে পারে না। আবার অনেকানেক জৈন